অসাংবিধানিক কাজ করেছেন, রাজ্যসভায় যোগী আদিত্যনাথকে তিরস্কার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর
বিজেপির অন্দরে গোলমাল।
দিল্লি, ২ জুলাই: অসাংবিধানিক কাজ করেছেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (UP CM Yogi Adityanath)। সম্প্রতি কেন্দ্রকে অন্ধকারে রেখে রাজ্যের ১৭টি সম্প্রদায়কে ওবিসি-র অন্তর্ভুক্ত করেছেন যোগী। সেই খবর প্রকাশ্যে আসতেই বিরোধীরা সরব হয়েছিল। এহেন কর্মকাণ্ডের কারণে এবার যোগীকে তিরস্করা করলেন সামাজিক ন্যায় ও ক্ষমতায়ন মন্ত্রী থবর চাঁদ গহলৌত। সংসদ ছাড়া আর কারও এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার নেই বলে সাফ জানিয়ে দেন তিনি।এর আগে যোগী সরকারের এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছিলেন বহুজন সমাজবাদী পার্টির (বিএসপি) নেত্রী মায়াবতী। এককথায় রাজ্যসভায় মুখ পুড়ল যোগীর।
এদিন রাজ্যসভায় জিরো আওয়ারে বিষয়টি তুলে ধরেন মায়াবতীর দলের নেতা সতীশচন্দ্র মিশ্র। সংবিধানের ৩৪১ ধারার ২ নম্বর উপধারা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘‘কোনও সম্প্রদায়কে তফসিলি জাতি, উপজাতি এবং ওবিসি শ্রেণিভুক্ত করার অধিকার শুধু সংসদের রয়েছে। রাষ্ট্রপতির হাতেও এই ধরনের পরিবর্তন ঘটানোর ক্ষমতা নেই।’’বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হলে যোগী সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন থবর চাঁদ গহলৌত। তিনি বলেন, ‘‘এ সব ক্ষেত্রে বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠানো উচিত ছিল উত্তরপ্রদেশ সরকারের। বিষয়টি নিয়ে ভাবনাচিন্তা করতাম আমরা।’’
গহলৌত আরও জানান, উত্তরপ্রদেশ সরকার যে নির্দেশ দিয়েছে তা সংবিধানের পরিপন্থী। কোন সম্প্রদায়কে কোন শ্রেণিভুক্ত করা হবে, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার রয়েছে শুধু সংসদের। এখনই এই সংক্রান্ত কোনও সার্টিফিকেট ইস্যু করা চলবে না। নইলে বিষয়টি আদালত পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। যোগী আগদিত্যনাথ সরকারকে অবিলম্বে এই নির্দেশ বাতিল করতেও নির্দেশ দেন তিনি। গত ২৪ জুন কাশ্যপ, রাজভর, ধীবর, বিন্দ, কুমহার, কাহার, কেওয়াত, নিষাদ, ভর, মাল্লা, প্রজাপতি, ধিমার, বাথাম, তুরহা, গোডিয়া, মাঞ্ঝি এবং মাছুয়া— এই ১৭টি সম্প্রদায়কে ওবিসি শ্রেণিভুক্ত করার নির্দেশ দেয় উত্তরপ্রদেশ সরকার।