Suicide: বিশ্বজুড়ে আত্মহত্যার সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে, সব থেকে বেশি আত্মহত্যা করে ভারতে!
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আত্মহত্যার ঘটনা রোধ করতে মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়ে মনোযোগ দেওয়া জরুরি। মনের স্বাস্থ্যের (Mental Health) পরিচর্যা করা গেলে আত্মহত্যার বড় অংশ প্রতিরোধ করা সম্ভব।
কলকাতা: বিশ্বে সবথেকে বেশি মানুষ আত্মহত্যা করছে ভারতে! মঙ্গলবার বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবসে ল্যানসেট (Lancet) জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা রিপোর্টে এক বিশেষজ্ঞ বলেছেন, ভারতে আত্মহত্যার কারণে বছরে ১৭০০০০ -এরও বেশি প্রাণ হারাচ্ছে। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরো (NCRB) থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, ২০২২ সালে ভারতে ১.৭১ লক্ষ মানুষ আত্মহত্যা করেছে। প্রতি ১ লক্ষ জনে ১২.৪ জন মানুষ আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। আত্মহত্যার পথ বেঁছে নেওয়া মানুষগুলির মধ্যে ৪০ শতাংশেরই বয়স ৩০-এর নীচে।
বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর ৭০,০০০০-এরও বেশি মানুষ আত্মহত্যা করে। তারমধ্যে ভারতে সবচেয়ে বেশি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। আত্মহত্যা কমানোর গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে এবং আত্মহত্যা প্রতিরোধে খোলামেলা কথোপকথনকে উৎসাহিত করতে প্রতি বছর ১০ সেপ্টেম্বর বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস পালন করা হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানসিক রোগীদের মধ্যেই আত্মহত্যার হার বেশি। মানসিক রোগে আক্রান্ত ৯২-৯৪ শতাংশ রোগী চিকিৎসা নেন না, ফলে সারা বিশ্বেই আত্মহত্যা বাড়ছে। আত্মহত্যার ঘটনা রোধ করতে মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়ে মনোযোগ দেওয়া জরুরি। মনের স্বাস্থ্যের (Mental Health) পরিচর্যা করা গেলে আত্মহত্যার বড় অংশ প্রতিরোধ করা সম্ভব।
জনস্বাস্থ্যের অধ্যাপক পাবলিক হেলথ ফাউন্ডেশন অফ ইন্ডিয়া (পিএইচএফআই)-এর ডাঃ রাখি ডান্ডোনা জানিয়েছেন, ‘আত্মহত্যা আসলে একটি জটিল জনস্বাস্থ্য সমস্যা। আজ পর্যন্ত আত্মহত্যা প্রতিরোধের জন্য মানসিক স্বাস্থ্যের উপর ফোকাস করা হয়েছে, যা গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু আমাদের কাছে এখন যথেষ্ট তথ্য রয়েছে যে আত্মহত্যা প্রতিরোধের জন্য মানসিক স্বাস্থ্যের বাইরে আমাদের ফোকাসকে আরও প্রসারিত করতে হবে।’
প্রতি বছর প্রকাশিত পুলিশ রেকর্ডের উপর ভিত্তি করে এনসিআরবি রিপোর্টের তথ্যগুলি মানুষ কেন তাদের জীবন শেষ করে সেই কারণগুলিকে তুলে ধরে। মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা দুঃখের নানান সংজ্ঞা তৈরি করেছেন এবং মাত্রাগত তারতম্যের ভিত্তিতে সেগুলোকে ‘মন খারাপ’, ‘অবসাদ’ বিভিন্ন নামকরণ করছেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিভিন্ন কারণে মানুষ আত্মহত্যা করে থাকেন। এর মধ্যে নিঃসঙ্গতা, বুলিং এবং সামাজিক বৈষম্য, প্রযুক্তির অধিক ব্যবহার মানুষকে সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিচ্ছে। এছাড়া আর্থিক ও সামাজিক বৈষম্য মানুষকে হতাশার দিকে নিয়ে যাচ্ছে। পুঁজিবাদী অর্থব্যবস্থায় মানুষের অর্থ উপার্জনের প্রতি মোহ ও ভোগবাদিতা দুটিই বেড়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে ভারতে বেকারত্বের কারণে পুরুষদের মধ্যে আত্মহত্যার হার সব থেকে বেশি।
(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)