Sukanta Majumdar: মুখ্যমন্ত্রী কি চাইছে বিজেপির কর্মী সমর্থকেরা আত্মহত্যা করুক? প্রশ্ন সুকান্ত মজুমদারের

ভোট পরবর্তী হিংসা রাজ্যে বিভিন্ন প্রান্তেই হয়েছে। ঘরছাড়া হয়েছেন অসংখ্য বিজেপির কর্মী সমর্থকেরা। তাঁদের নিয়ে গত বৃহস্পতিবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু তাঁদের আটকে দেয় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশরা। আর এই নিয়ে বেজায় ক্ষুব্ধ খোদ রাজ্যপাল। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে হাইকোর্টে মামলা উঠেছে। বোসের পক্ষ থেকেও রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। সেই সঙ্গে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সমস্ত পুলিশকর্মীর বদলিরও দাবি করেছেন রাজ্যপাল। এবার এই নিয়ে মুখ খুললেন বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।

তিনি এদিন বলেন, "রাজ্যে গনতন্ত্রের অসম্মান করা হচ্ছে। রাজ্যপাল তো সঠিক প্রশ্ন তুলেছেন। ওনার সঙ্গে কেন কাউকে দেখা করতে গেলে বাধা দেওয়া হবে। কেন ওনাকে রাজভবনের ূবাইরে বেরিয়ে এসে দেখা করতে হবে? রাজ্যপাল সংবিধানের রক্ষক, তাঁকেই যদি আটকে দেওয়া হয় তাহলে তো কিছু বলার নেই। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি চান যে বিজেপির কর্মী সমর্থকরা মরে যাক, আত্মহত্যা করুক? তাহলে সেটা প্রকাশ্য জনসভায় স্বীকার করুক, তাহলে অসংখ্য বিজেপির কর্মীরা এখনই তাঁর বাসভবনের সামনে গিয়ে আত্মহত্যা করবে"।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারের ঘটনার পর রাজ্যপাল এক্স  হ্যাণ্ডেলে টুইট করে বলেন, ভোট পরবর্তী হিংসায় শিকার হওয়া মানুষজনেদের সঙ্গে দেখা করবেন তিনি। তাঁদের সঙ্গে দেখা না হওয়া পর্যন্ত পুলিশমন্ত্রীর সঙ্গেও দেখা করবেন না তিনি। অন্যদিকে হাইকোর্টে এই মামলার শুনানি চলাকালিন  বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন যে, "রাজ্যপালকে কোনও কারণে কি গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে? যদি না খাকে তাহলে কেন বাধা দেওয়া হল? রাজ্যপালের সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীরা অবশ্যই দেখা করতে পারবেন"।