Uttar Pradesh Wolf: বাহরাইচে নেকড়ে ত্রাসের ইতি, গ্রামবাসীরা পিটিয়ে মারল ষষ্ঠ মানুষখেকোটিকে, তদন্তে বন দফতর

বাগে পেয়ে আর সেই সুযোগ হাতছাড়া করেনি তাঁরা। একেবারে পিটিয়ে শেষ করেছে শেষ মানুষখেকোটিকে। সেই সঙ্গে গ্রামবাসীদের মধ্যে থেকে নেকড়ে আতঙ্কের মেঘ কেটেছে।

Wolf (Photo Credits: ANI)

বাহরাইচ, ৭ অক্টোবরঃ উত্তরপ্রদেশের বাহরাইচে (Bahraich) শেষমেশ মানুষখেকো নেকড়ের আতঙ্কে ইতি পড়ল। গত দুমাস ধরে নেকড়ের তাণ্ডবে (Wolf Terror) তটস্থ হয়ে ছিল বাহরাইচ জেলার প্রায় ৩৫টি গ্রামের মানুষজন। ছয়টি নেকড়ের একটি দল বসতি এলাকা থেকে বহু মানুষ শিকার করেছে। বন দফতর এবং গ্রামবাসীরা মিলে পাঁচটি মানুষখেকো ধরতে সক্ষম হলেও অধরা ছিল ষষ্ঠটি। শেষ এবং ষষ্ঠ নেকড়েটিকে এবার পিটিয়ে মারল অতিষ্ঠ গ্রামবাসী। নেকড়ের ত্রাসে প্রাণ হাতে নিতে এত দিন বাঁচছিলেন বাহরাইচের মানুষজন। অবশেষ বাগে পেয়ে আর সেই সুযোগ হাতছাড়া করেনি তাঁরা। একেবারে পিটিয়ে শেষ করেছে শেষ মানুষখেকোটিকে। সেই সঙ্গে গ্রামবাসীদের মধ্যে থেকে নেকড়ে আতঙ্কের মেঘ কেটেছে।

জানা যাচ্ছে, শনিবার রাতে তামাচুড় গ্রামে ছাগল শিকার করতে গিয়ে গ্রামবাসীদের রোষের মুখে পড়ে নেকড়েটি। লাঠিসোঁটা হাতে একেবারে তক্কে তক্কে ছিল সকলে। নেকড়েটির দেখা মেলা মাত্রই হামলা করেন তাঁরা। পিটিয়ে মারা হয় মানুষখেকোটিকে। খবর পেয়ে বন দফতরের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে নেকড়ের দেহটি উদ্ধার করে। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্যে পাঠানো হয়েছে। কে বা কারা পিটিয়ে নেকড়ে হত্যা করেছে সেই তদন্ত করছে বন বিভাগ।

বাহরাইচে আচমকা নেকড়ে হানা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই দুশ্চিন্তায় পড়েছিল গ্রামবাসী। রাতের অন্ধকারে নরখাদকদের হামলায় প্রাণ হারিয়েছিল ১০ জন। তাঁদের মধ্যে ৯ জন শিশু। আহতদের সংখ্যা ৪০ ছুঁইছুঁই। বন দফতরের তরফে নেকড়ে ধরতে একাধিক অভিযান চালানো হয়। জঙ্গলে ক্যামেরা লাগানো হয়, আকাশে ড্রোন উড়িয়ে নেকড়ের সন্ধান করা হয়। লাঠি হাতে রাত পাহারায় নামেন গ্রামবাসী। বহু প্রচেষ্টার পর দলের পাঁচটি নেকড়ের ধরতে পারলেও একটিকে কিছুতেই ধরা যাচ্ছিল না। শনিবার রাতে শেষমেশ গ্রামবাসীদের রোষের শিকার হল সেই ষষ্ঠ নরখাদকটি।