Uttar Pradesh: স্কুলের প্রার্থনায় ইকবালের কবিতা পাঠ করানোয় বিশ্ব হিন্দু পরিষদের অভিযোগের পর প্রধান শিক্ষক সাসপেন্ড
স্কুলের প্রার্থনায় জাতীয় সঙ্গীতের বদলে ইকবালের লেখা কবিতা পাঠ করানোর অভিযোগে সাসপেন্ড করা হল উত্তরপ্রদেশের পিলভিটের এক মুসলিম প্রধান শিক্ষককে। পিলিভিটের ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক ফুরকান আলির বিরুদ্ধে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ অভিযোগ আনে, তিনি তার স্কুলের ছাত্রদের প্রার্থনায় ১৯০২ সালে মুহম্মদ ইকবালের লেখা, 'লব পে আলি হ্যায় দুয়া...'নামের এক কবিতা পাঠ করান।
লখনউ, ১৬ অক্টোবর: স্কুলের প্রার্থনায় জাতীয় সঙ্গীতের বদলে ইকবালের লেখা কবিতা পাঠ করানোর অভিযোগে সাসপেন্ড করা হল উত্তরপ্রদেশের পিলভিতের এক মুসলিম প্রধান শিক্ষককে। পিলভিত জেলার বিলাসপুরে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মহম্মদ ফুরকান আলি (Mohammad Furkan Ali) র বিরুদ্ধে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (VHP) অভিযোগ আনে, তিনি তার স্কুলের ছাত্রদের প্রার্থনায় ১৯০২ সালে মুহম্মদ ইকবাল (Muhammad Iqbal)-র লেখা, 'লব পে আলি হ্যায় দুয়া...'নামের এক কবিতা পাঠ করান। যে কবিতা মাদ্রাসায় ধর্মীয় শিক্ষায় পড়ানো হয়। VHP-র অভিযোগ স্কুলের প্রার্থনায় জাতীয় সঙ্গীতের বদলে ইকবালের লেখা কবিতা পাঠ করিয়ে প্রধান শিক্ষক মারাত্মক অপরাধ করেছেন। ইকবালের লেখা এই কবিতাকে ধার্মিক প্রার্থনার তকমা দেওয়া হয়েছে। VHP-র অভিযোগের পর তদন্তে নেমে সেই প্রধান শিক্ষককে কাঠগড়ায় তুলে তাকে সাসপেন্ড করে স্থানীয় প্রশাসন।
'সারে জাহা সে আচ্ছা...র' লেখক ইকবালের কবিতাকে ধার্মিক তকমা দিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্কুলের ৪৫ বছর বয়সী প্রধান শিক্ষক ফুরকান আলিকে সাসপেন্ড করার কথা জানানো হয়েছে। VHP-র অভিযোগ, বিক্ষোভের পর স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্তে নামে প্রশাসন। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই স্কুলের প্রার্থনার এক ভিডিও ভাইরাল হয়। তারপর প্রশাসনের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় প্রার্থনায় ছাত্রদের পাঠ করিয়ে অপরাধ করেছেন প্রধান শিক্ষক। এই খবর 'ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস'-এ প্রকাশিত হওয়ার পর চাঞ্চল্য ছড়ায়। আরও পড়ুন-NRC Issue: 'বিজেপি করুন, এনআরসি সামলে দেব' বিতর্কিত মন্তব্য শঙ্কুদেব পণ্ডার, প্রতিক্রিয়া দিয়ে দিলীপ বললেন, ‘ঠিক বলেছে’
স্থানীয় প্রশাসনের তরফ থেকে এই বিষয়ে বলা হয়েছে, '' যদি প্রধানশিক্ষক জাতীয় সঙ্গীতের পরিবর্তে স্কুলের প্রার্থনায় কোনও কবিতা পাঠ করান, তাহলে তো সেটা অপরাধ বটেই। এমন কিছু করার আগে ওনার সরকারের কাছে অনুমতি চাওয়া উচিত ছিল।" স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলছেন, প্রার্থনায় জাতীয় সঙ্গীত প্রতিদিনই বাজানো হয়। প্রথম শ্রেণী থেকে অষ্টম শ্রেণীর সিলেবাসে ইকবালের কবিতা আছে। যে সিলেবাস সরকার ঠিক করে দেয়। প্রতিদিন আমার স্কুলের ছাত্ররা প্রার্থনায় 'ভারত মাতা কী জয়' স্লোগান দেয়। তারপরেও ভিএইচপি এবং হিন্দু যুব বাহিনীর সদস্যরা আমাকে সরাতে চেয়ে আন্দোলন চালায়।"
(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)