Merchant Navy Officer Killed By Wife: মার্চেন্ট নেভি অফিসারকে খুন করে দেহাংশ টুকরো করল স্ত্রী এবং তাঁর প্রেমিক, খণ্ডিত অংশ ড্রামে ভরে সিমেন্ট পেস্ট করল দুই 'খুনি'

সৌরভ দেশে ফিরলেও, সাহিল এবং মুসকানের পরিকল্পনা তখন তৈরি হয়ে যায় খুনের। পরিকল্পনা করেই মুসকান সৌরভের খাবারে ঘুমের ওষুধ মেশায়। সৌরভ ঘুমিয়ে পড়লে, সাহিল তাঁকে খুন করে। এরপর ছুরি দিয়ে সৌরভের দেহ কেটে, প্লাস্টিকের ড্রামে ভরে সিমেন্ট দিয়ে দেয়।

Merchant Navy Officer Killed By Wife And Boyfriend (Photo Credit: X/Screengrab)

দিল্লি, ১৯ মার্চ: এবার এক মার্চেন্ট নেভি অফিসারকে (Merchant Navy Officer) খুন করা হল। স্ত্রী (Wife) এবং তার প্রেমিক (Lover) মিলে একযোগে মার্চেন্ট নেভির অফিসারকে হত্যা করা হয়। এরপর মৃতদেহকে ১৫টি টুকরোতে খণ্ডিত করা হয়। মৃতদেহের ১৫ টুকরো একটি প্লাস্টিকের ড্রামে ঢুকিয়, তার উপর সিমেন্টে দিয়ে গাঁথা হয়। শুনে ভয়াবহ লাগছে? তবে এমনই একটি ঘটনার সাক্ষী উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) মীরাট। যেখানে এক মার্চেন্ট নেভি অফিসারকে খুন করে তাঁর স্ত্রী এবং প্রেমিক একযোগে। সৌরভ রাজপুত নামের ওই অফিসারকে খুন করে তাঁর স্ত্রী মুসকান রাস্তোগি এবং সাহিল শুক্ল নামে এক যুবক। পুলিশ সূত্রে খবর, ভালবাসা, প্রতিশোধের গল্পই উঠে এসেছে সৌরভ, মুসকান এবং সাহিলের গল্পে।

দেখুন সেই খুনিদের ছবি...

 

বিয়ে এবং বিচ্ছেদের টানাপোড়েন

২০১৬ সালে সৌরভ এবং মুসকানের বিয়ে হয়। মার্চেন্ট নেভিতে চাকরি করায় সৌরভ খুব বেশি সময় দিতে পারতেন না মুসকানকে। তাই মার্চেন্ট নেভির চাকরি ছাড়েন সৌরভ। মুসকানকে নিয়ে একটি ভাড়া বাড়িতে ওঠেন তিনি। ২০১৯ সালে মুসকান এবং সৌরভের এক কন্যা সন্তানের জন্ম হয়।  পরিবার হাসিখুশিভাবেই চলছিল। তবে তা বেশিদিন টেকেনি। সৌরভ জানতে পারেন, তাঁর স্ত্রী মুসকনের সঙ্গে বন্ধু সাহিল সম্পর্কে জড়িয়েছেন। বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েও পরে পিছিয়ে যান সৌরগভ। মেয়ের ভবিষ্যতের কথা বেবেই মুসকানের সঙ্গে সমস্ত ঝামেলা মিটিয়ে তিনি সংসার করছিলেন।

মেয়ের জন্মদিনে আবার বাড়িতে ফেরেন সৌরভ

এরপর ২০২৩ সালে সৌরভ ফের মার্চেন্ট নেভিতে যোগ দেন পরিবারের কথা ভেবে। এরপরই দেশ ছাড়েন তিনি। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ছিল সৌরভ, মুসকানের মেয়ের জন্মদিন। মেয়ের জন্মদিন উপলক্ষ্যে ২৪ ফেব্রুয়ারি তিনি দেশে ফেরেন।

খুনের পরিকল্পনা 

তবে সৌরভ দেশে ফিরলেও, সাহিল এবং মুসকানের পরিকল্পনা তখন তৈরি হয়ে যায় খুনের। পরিকল্পনা করেই মুসকান সৌরভের খাবারে ঘুমের ওষুধ মেশায়। সৌরভ ঘুমিয়ে পড়লে, সাহিল তাঁকে খুন করে। এরপর ছুরি দিয়ে সৌরভের দেহ কেটে, প্লাস্টিকের ড্রামে ভরে সিমেন্ট দিয়ে দেয়।

কোথায় সৌরভ, প্রশ্ন তোলেন প্রত্যেকে

আশপাশের লোকজন এরপর সৌরভ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা কলে, মুসকান বলতে শুরু করেন, তাঁর স্বামী কর্মসূত্রে পাহাড়ে গিয়েছেন। এরপর সাহিল এবং মুসকান মানালিতে বেড়াতে যান। সৌরভের ফোন তেকে তাঁদের ছবি আপলোড করা হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। তবে বাড়ির কেউ ফোন করলে, তা যখন সৌরভ না তুলতে শুরু করেন, তখন সন্দেহ দানা বাধতে শুরু করে।  এরপর সৌরভের বাড়ির লোকজন থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

পুলিশের হাতে ধরা পড়ে

অভিযোগ দায়েরের পর পুলিশ সাহিল এবং মুসকানকে হেফাজতে নেয়। শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ভেঙে পড়ে তারা এবং খুনের কথা স্বীকার করে।  পুলিশকে তারা জানায়, কীভাবে খুন করা হয়েছে এবং দেহ কোথায় রয়েছে।

(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)

Share Now
Advertisement


Advertisement
Advertisement
Share Now
Advertisement