সময় মতো নার্সিংহোমের বিল মেটাতে পারেনি পরিবার, জীবন্ত রোগীকে মৃত ঘোষণা করল হাসপাতাল
কবরে মৃত নড়ে উঠতেই চাঞ্চল্য ছড়াল।
লখনউ, ২ জুলাই: ছেলের মৃত্যুর খবরে ভেঙে পড়েছিল গোটা পরিবার। গোটা পৃথিবীটাই চোখের সামনে শূন্য হয়ে গিয়েছিল। তবে নিয়তির সঙ্গে আর কেই বা এঁটে উঠতে পেরেছে, তাই শোক বুকে চেপেই ছেলের দাফনের জোগাড়যন্ত্র সম্পন্ন। কিন্তু কবরস্থানে তো অন্য ঘটনা, দাফনের আগেই দেহ যেন নড়ে উঠল। শোকতাপ ভুলে সঙ্গে সঙ্গে ছেলে মহম্মদ ফারকানকে নিয়ে সদলবলে হাসপাতালে গেল গোটা পরিবার। ডাক্তাররা জানালেন ফারকান বেঁচে যচ্ছেন, তাঁর ভেন্টিলেশনের সাপোর্ট প্রয়োজন। গোটা ঘটনায় হতবাক বাড়ির লোকজন।এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে উত্তরপ্রদেশের লখনউতে। আরও পড়ুন-Delhi: রাহুল গান্ধী-র পদত্যাগ ঠেকাতে দিল্লিতে কংগ্রেস ভবনের সামনে আত্মহত্যার চেষ্টা কর্মীর
এই মুহূর্তে রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ফারকান। গত ২১জুন এক ভয়াবহ দুর্ঘটনার শিকার হন ওই তরুণ। টানা কয়েকদিন ভেন্টিলেশনে থেকেও শেষরক্ষা হয়নি। ডাক্তাররা জবাব দিতেই গোটা বাড়িতে শোকের ছায়া নামে। বাড়ির ছোট ছেলেকে শেষবার বিদায় জানানোর প্রস্তুতি শুরু হয়েছিল। তার মধ্যেই ঘটল এমন কাণ্ড। ফাকরানের দাদা ইরফান জানিয়েছেন, “ভাইয়ের কবরের জন্য সব কিছু তৈরি করছিলাম আমরা। আচমকাই খেয়াল করি ও নড়ছে। বাড়ির আরও কয়েকজনও এটা লক্ষ্য করেন। এরপর তাড়াতাড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাই ভাইকে। ডাক্তাররা বলেন, ও বেঁচে রয়েছে। তবে ওর ভেন্টিলেটর সাপোর্ট সিস্টেমের প্রয়োজন।”
উত্তরপ্রদেশের লখনউতে ঘটেছে এই ঘটনা। ফারকানের দাদা জানিয়েছেন, “ওই বেসরকারি হাসপাতালে ৭ লক্ষ টাকার বিল মিটিয়েছি আমরা। তারপর যখন বলেছিলাম যে টাকা কম পড়েছে, তখনই ওরা বলে ফাকরান মারা গিয়েছে। চিকিৎসা চললে টাকা আমরা যে ভাবেই হোক জোগাড় করতাম। কিন্তু হাসপাতাল সে সব না ভেবেই জীবন্ত মানুষকে মারা গিয়েছে বলে ঘোষণা করে দিল।” বর্তমানে রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে ফাকরানের। তাঁর চিকিৎসক জানিয়েছেন, “নিঃসন্দেহে ওর অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক ছিল। কিন্তু ব্রেন ডেথ হয়নি। পালস থেকে শুরু করে ব্লাড প্রেসার, এমনকী শরীরের সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ঠিক ভাবে সাড়া দিচ্ছিল।”