Delhi Hit And Run Case: পাশবিক! দিল্লিতে দুই কিশোরীকে পিষে মারল গাড়ি
গুরুতর জখম অবস্থায় দুই কিশোরীকে প্রথমে পুষ্পাঞ্জলি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পরে সেখান থেকে তাদের অ্যাকশন বালাজি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করে দেওয়া হয়। কিন্তু, সেখানে ভেন্টিলেটার না থাকার কারণে মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয় মানবীর।
নয়াদিল্লি: ফের মর্মান্তিক পথদুর্ঘটনার (Delhi Hit And Run Case) সাক্ষী হল দিল্লির বাসিন্দারা। টিউশন (Tuition) পড়তে যাওয়ার সময় একটি বেপরোয়া গাড়ির (Car) ধাক্কায় মৃত্যু হল দুই কিশোরীর। মর্মান্তিক এই পথদুর্ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লির (Delhi) রোহতক রোডে (Rohtak road)। মৃতরা হল ভনশিখা মিশ্রা (Vanshika Mishra) (১৪) ও মানবী (Manvi) (১৪)।
সূত্রের খবর, টিউশন পড়তে যাওয়া সময় দিল্লির রোহতক রোডে রাস্তা পার হচ্ছিল ওই দুই কিশোরী। এমন সময় একটি মারুতি সুইফট গাড়ি (Maruti Swift car) নিয়ে তাদের ধাক্কা মেরে চলে যায় অরুণ শর্মা (Arun Sharma) নামে এক ব্যক্তি। এর ফলে গুরুতর জখম অবস্থায় ওই দুই ছাত্রীকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে চিকিৎসা চলাকালীন তাদের মৃত্যু হয়।
বুধবার দিল্লি পুলিশের তরফে প্রকাশিত বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, গত ১১ ডিসেম্বর ফোনের ভিত্তিতে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। তার ভিত্তিতে তদন্ত করে জানা গেছে ভনশিখা ও মানবী নামে দুই কিশোরী রোহতক রোডের ২৯৪ নম্বর মেট্রো পিলারের কাছ থেকে রাস্তা পেরনোর সময় সিলভার কালারের একটি মারুতি সুইফট গাড়ি নিয়ে দিল্লির নানগোলির (Nangloi) অধ্যাপক নগরের (Adhyapak nagar) বাসিন্দা অরুণ শর্মা ধাক্কা মারে। এর ভিত্তিতে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪ ধারা-সহ আরও দুটি ধারায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। আরও পড়ুন: Uttar Pradesh Road Accident: আগ্রা-লখনউ এক্সপ্রেসওয়েতে ভয়াবহ পথদুর্ঘটনা, লরি ও বাসের সংঘর্ষে মৃত কমপক্ষে ৬
ওই বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, গুরুতর জখম অবস্থায় দুই কিশোরীকে প্রথমে পুষ্পাঞ্জলি হাসপাতালে (Pushpanjali hospital) নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পরে সেখান থেকে তাদের অ্যাকশন বালাজি হাসপাতালে (Action Balaji hopital) স্থানান্তরিত করে দেওয়া হয়। কিন্তু, সেখানে ভেন্টিলেটার (ventilator) না থাকার কারণে মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয় মানবীর। এর পর ভনশিখাকে মহারাজা অগ্রসেন হাসপাতালে (Maharaja Agrasen hopital) ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানে চিকিৎসা চলাকালীন বুধবার সকালে মৃত্যু হয়েছে ভনশিখার। গতকাল মানবীর মৃতদেহ তার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল। আজ ভনশিখার মৃতদেহ সঞ্জয় গান্ধী হাসপাতালে (Sanjay Gandhi hospital) ময়নাতদন্ত (postmortem) হওয়ার পর তার পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তদন্ত (investigations) এখনও চলছে।