Maharani Tulsibati: মহারানী তুলসীবতীর পূর্ণাবয়ব মূর্তির পর্দা উন্মোচন করলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী
মহিলাদের শিক্ষিত করার জন্য নিজের শাসনকালে প্রচুর উদ্যোগ নিয়েছিলেন রানী তুলসীবতী। তার অঙ্গ হিসেবে রাজপ্রাসাদের মধ্যেই ১৮৯৪ সালের ৯ এপ্রিল আগরতলা বালিকা বিদ্যালয় নামে একটি স্কুল খুলেছিলেন তিনি।
আগরতলা: ত্রিপুরার (Tripura) জনপ্রিয় শাসক মহারানী তুলসীবতীর (Maharani Tulsibati) পূর্ণাবয়ব মূর্তি (life-size statue) বসানো হল আগরতলায় (Agartala)। রবিবার ত্রিপুরার রাজধানীতে অবস্থিত তুলসীবতী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে (Tulsibati Girls HS School) মূর্তিটির পর্দা উন্মোচন করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা (CM Dr Manik Saha)।
মহারানী তুলসীবতী ছিলেন ত্রিপুরার সেই রাজ পরিবারের (Royal Dysasty) একজন স্মরণীয় চরিত্র, যে রাজ পরিবার এখানে ৫০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে রাজত্ব করেছে। সমাজের জন্য মহারানী তুলসীবতীর ভালোবাসা ও কাজ তাঁকে আজও প্রাসঙ্গিক করে রেখেছে। তার যেন ফলশ্রুতি দেখা গেল রবিবার।
এপ্রসঙ্গে তুলসীবতী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয়, আগরতলা শহরের একদম মাঝে অবস্থিত তুলসীবতী হাইস্কুল সিবিএসই বোর্ডের (CBSE board) অনুমোদিত একটি বিদ্যাজ্যোতি স্কুল (Vidyajyoti School)। আগামী প্রজন্ম যাতে রানী তুলসীবতীর কথা স্মরণে রাখে তাই তাঁর পূর্ণাবয়ব মূর্তি বসানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মহিলাদের শিক্ষিত করার জন্য নিজের শাসনকালে প্রচুর উদ্যোগ নিয়েছিলেন রানী তুলসীবতী। তার অঙ্গ হিসেবে রাজপ্রাসাদের মধ্যেই ১৮৯৪ সালের ৯ এপ্রিল আগরতলা বালিকা বিদ্যালয় নামে একটি স্কুল খুলেছিলেন তিনি।
পরে স্কুলটির নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় মহারানী তুলসীবতী বালিকা বিদ্যালয়। পাশাপাশি স্কুলটিকে রাজপ্রাসাদের বাইরে স্থানান্তরিত করা হয়। তারপর থেকে জাতি, ধর্ম ও সম্প্রদায় নির্বিশেষে ওই বিদ্যালয়ে মেয়েদের শিক্ষা ও উন্নয়নের জন্য সবরকমের উপায় অবলম্বন করা হয়।