Election 2022: বাইশ ভোটের প্রস্তুতি জোর কদমে শুরু করল বিজেপি, পাখির চোখ উত্তর প্রদেশ
আগামী বছর দেশের ভোট রাজনীতিতে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা বছর। দেশে পাঁচ রাজ্যে হতে চলা ২০২২-এর বিধানসভা নির্বাচনকে অনায়াসে ২০২৪ লোকসভার সেমিফাইনাল বলা যায়।
নতুন দিল্লি, ২৬ জুন: আগামী বছর দেশের ভোট রাজনীতিতে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা বছর। দেশে পাঁচ রাজ্যে হতে চলা ২০২২-এর বিধানসভা নির্বাচনকে অনায়াসে ২০২৪ লোকসভার সেমিফাইনাল বলা যায়। আগামী বছর, ২০২২ সালে পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, পঞ্জাব, মনীপুর ও গোয়ায় ভোট হবে। এর মধ্যে একমাত্র পঞ্জাব ছাড়া বিজেপি চার রাজ্যে ক্ষমতায় আছে। কংগ্রেস ক্ষমতায় আছে পঞ্জাবে। আর এই নির্বাচনগুলিকে নিয়ে এখন থেকেই জোর কদমে আসরে নেমে পড়ল বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং সহ সাত কেন্দ্রীয় পূর্ণমন্ত্রীর মধ্যে বৈঠকে ২০২২ সালে হতে চলা পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে বৈঠক হয়। রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক এই দুই বিষয় নিয়েই বিজেপি-র উচ্চপর্যায়ের এই বৈঠক হয়। বৈঠকের পর এক পার্টি নেতা জানান 'আগামী বছর পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখাই ছিল এই বৈঠকের প্রধান লক্ষ্য।" আগামী বছরের শুরুতেই এই পাঁচ রাজ্যে নির্বাচন। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে নরেন্দ্র মোদী সরকারের ভূমিকা সব মহলেই প্রশ্নের মুখে পড়ে। বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা যায় করোনা পরিস্থিতিতে মোদী সরকারের জনপ্রিয়তায় ভাঁটা পড়েছে। ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমে ঠিক কতটা জনপ্রিয়তা ফেরানো গিয়েছে সেটাই বড় পরীক্ষা হতে চলেছে আগামী বছর পাঁচ রাজ্যের ভোট।
বলাই বাহুল্য ৪০৩ আসনের উত্তর প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনই হতে চলেছ আগামী বছর ভোটের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ। ভারতীয় রাজনীতির চেনা স্লোগান, ইউপি জিসকা, দেশ কা কুর্সি উসকা। ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় আসার দু বছর পর ইউপি বিধানসভা নির্বাচনে ঝড় তুলে অখিলেশ যাদবকে উড়িয়ে ক্ষমতায় আসে বিজেপি। এবার ইউপি-তে সিংহাসন ধরে রাখার অগ্নিপরীক্ষায় মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তবে যোগীর থেকেও ইউপি নির্বাচনে বড় পরীক্ষা মোদী-শাহ। কারণ ইউপি-তে বিজেপি ক্ষমতাচ্যুত হলে ২০২৪ লোকসভা বিজেপি-কর জয়ের কাজটা বেশ কঠিন হয়ে যাবে। ২০১৯ সালে একাই তিনশোর বেশি আসনে জিতে ইতিহাস গড়া নরেন্দ্র মোদী বড় চাপে পড়ে যান যদি উত্তর প্রদেশে বিজেপি ক্ষমতা হারায়। আর তাই যোগী আদিত্যনাথের ওপর কোভিড সামলানো নিয়ে জনমানষে চূড়ান্ত অসন্তোষ তৈরি হলেও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের আশঙ্কায় কোনও ঝুঁকি না নিয়ে তাঁকেই মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে রেখে দেওয়া হয়।
২০২১ সালে যেমন পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হয়। অসমে জিতলেও বাংলায় ভোটে হার নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহদের চূড়ান্ত হতাশ করেছে। কেরলে একটাও আসন না জেতার ব্যর্থতাও হজম করতে হয়েছে বিজেপি-কে। তামিল রাজনীতির দুই পুরধা করুণানিধি, জয়ললিতা মারা গেলেও বিজেপি কোনওরকম সুযোগ তুলতে পারেনি। তাই উত্তরপ্রদেশে জিততে মরিয়া থাকবে বিজেপি। পাশাপাশি উত্তরাখণ্ড, গোয়া, মনীপুরের মত ছোট রাজ্যেও নিজেদের শাসন বজায় রাখতে চাইবে পদ্ম শিবির। উত্তর প্রদেশের পর বিজেপি-র প্রেস্টিজ ফাইট কিন্তু পঞ্জাবে। যে পঞ্জাবে কৃষক আন্দোলনের ঢেউ আছড়ে পড়েছে। সেখানে জিততে পারলে গোটা দেশের কাছে বার্তা দেওয়া যাবে। যদিও শরিক হিসেবে শিরোমণি অকালি দলকে হারানোর পর পঞ্জাবে বিজেপির অবস্থা একেবারেই ভাল নয়। গোয়াতেও বিজেপি-র মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্তের ওপর কোভিড ব্যর্থতা এসে পড়েছে।
(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)