TikTok India Issues Statement: 'ভারতীয় তথ্য সুরক্ষিতই রয়েছে, বিদেশে পাচার হয়নি', দাবি করে টুইট টিকটক ইন্ডিয়ার

টিকটক ইন্ডিয়া মঙ্গলবার বিবৃতি দিয়ে জানায়, ভারতের কোনও তথ্য বিদেশে পাঠানো হয়নি। তাদের তথ্য সুরক্ষিত রয়েছে। সোমবার ভারত সরকার চিনের ৫৯ টি অ্যাপে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। তাঁদের দাবি, ভারতের তথ্য এই অ্যাপগুলির মাধ্যমে বিদেশে যাচ্ছে। ভারত-চিন সীমান্ত সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় সেনার প্রাণহানির পর এই সিদ্ধান্তে সরগরম গোটা দেশ।

টিকটক (Photo Credits: File Image)

নতুন দিল্লি, ৩০ জুন: টিকটক ইন্ডিয়া (TikTok India) মঙ্গলবার বিবৃতি দিয়ে জানায়, ভারতের কোনও তথ্য বিদেশে পাঠানো হয়নি। তাদের তথ্য সুরক্ষিত রয়েছে। সোমবার ভারত সরকার চিনের ৫৯ টি অ্যাপে (Chinese Apps) নিষেধাজ্ঞা জারি করে। তাঁদের দাবি, ভারতের তথ্য এই অ্যাপগুলির মাধ্যমে বিদেশে যাচ্ছে। ভারত-চিন সীমান্ত সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় সেনার প্রাণহানির পর এই সিদ্ধান্তে সরগরম গোটা দেশ।

টুইটার ইন্ডিয়ার প্রধান নিখিল গান্ধী টুইট করে জানান, ভারতের ব্যবহারকারীদের তথ্য কোনও বিদেশী সরকার বা সংস্থার কাছে পৌঁছয় না। ভারতীয়দের তথ্য সুরক্ষিতই রয়েছে। তিনি বলেন,"আমরা ব্যবহারকারীদের তথ্যের গোপনীয়তা ও সততা বজায় রাখি।" তিনি বিস্তারিতভাবে লেখেন,"টিকটক-সহ ৫৯টি অ্যাপ ব্লক করার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ দিয়েছে ভারত সরকার। আমরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চালাচ্ছি। এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানানোর জন্য ও নিজেদের ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সরকারি স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পেয়েছি।" পাশাপাশি এও জানানো হয় যে, "টিকটক প্রাইভেসি ও সিকিউরিটি নিয়ে ভারতীয় আইনে যা বলা আছে, তা সবসময় মেনে চলে। আমরা কখনওই ভারতীয় গ্রাহকদের কোনও তথ্য চিন বা অন্য কোনও বিদেশি সরকারের সঙ্গে শেয়ার করি না। গ্রাহকদের গোপনীয়তা রক্ষার বিষয়টি আমাদের কাছে সবার আগে।" আরও পড়ুন, টিকটক, হ্যালো, ইউসি ব্রাউজার সহ ৫৯টি চিনা অ্যাপে নিষেধাজ্ঞা জারির পথে ভারত সরকার

গতকাল টিকটক, হ্যালো, ইউসি ব্রাউজার, শেয়ারইটের মত জনপ্রিয় অ্যাপগুলিকে নিষিদ্ধ করে দেয় ভারত সরকার। তারই পরিপ্রেক্ষিতে এই বিবৃতি দেয় টিকটক ইন্ডিয়া। ইতিমধ্যে গুগল প্লে স্টোর ও অ্যাপেল অ্যাপ স্টোর থেকে টিকটক, হ্যালোর মত অ্যাপগুলিকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। দেশের কোটি কোটি মানুষ এই জনপ্রিয় অ্যাপগুলি ব্যবহার করে। এগুলি ছাড়াও যে অ্যাপগুলি দেশে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয় তাদের মধ্যে রয়েছে-উই চ্যাট, এমআই ভিডিও কল, ক্যাম স্ক্যানার, নিউজ ডগ, ইউসি নিউজ, উইবো, শেয়ারইট, ক্লাব ফ্যাক্টরি, সেইন।

এই অ্যাপগুলির বিরুদ্ধে তথ্য়প্রযুক্তি আইনের ৬৯এ ধারা এবং ২০০৯ সালের তথ্যপ্রযুক্তি বিধির সংশ্লিষ্ট ধারা প্রয়োগ করেছে।