Death Penalty: ঘাড়ে দড়ি ঝুলিয়ে ফাঁসির চেয়ে কম কষ্টের মৃত্যুদণ্ডের উপায় নিয়ে কেন্দ্রকে আলোচনার প্রস্তাব সুপ্রিম কোর্টের
ভারতীয় আইনে বিরল থেকে বিরলতম অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি হল মৃত্যুদণ্ড। আর দেশে মৃত্য়ুদণ্ডের একটাই উপায়, সেটা হল ফাঁসি।
নতুন দিল্লি, ২১ মার্চ: ভারতীয় আইনে বিরল থেকে বিরলতম অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি হল মৃত্যুদণ্ড। আর দেশে মৃত্য়ুদণ্ডের একটাই উপায়, সেটা হল ফাঁসি। হ্য়াঙ টিল ডেথ...বা মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত ঝুলিয়ে রাখা। এবার মৃত্য়ুদণ্ডের সাজায় ফাঁসি নিয়ে নড়চেড়ে বসলে সুপ্রিম কোর্ট। ফাঁসির চেয়ে কম যন্ত্রণাদায়ক কিছু মৃত্যুদণ্ডের জন্য চালু করা যায় কি না তা নিয়ে বিশেষজ্ঞ প্য়ানেল খুলে কেন্দ্রকে আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত।
সাজাপ্রাপ্ত আসামীকে ঘাড়ে দড়ি ঝুলিয়ে ফাঁসির পরিবর্তে কম কষ্টকর মৃত্যুদণ্ডের সাজার উপায় নিয়ে তথ্য সন্ধান ও খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রকে নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। ভারতে মৃত্য়ুদণ্ড তুলে দেওয়া নিয়ে, কিছু মানবাধিকার সংগঠন সরব হলেও সে দাবি এখনও মানা হচ্ছে না। বরং ফাঁসির পরিবর্তে মৃত্য়ুদণ্ডের সাজায় অপরাধীর কম কষ্টের মৃত্যু চায় দেশের সর্বোচ্চ আদালত। আরও পড়ুন-আধার-প্যান যোগে আরও ৬ মাস সময় চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি অধীরের
দেখুন টুইট
ফাঁসির পরিবর্তে সাজাপ্রাপ্ত আসামীকে ঘুমন্ত অবস্থায় বিষাক্ত ইঞ্জিকেশনে প্রয়োগ করে মৃত্যুকে কম যন্ত্রণার মনে করা হয়। যদিও তা নিয়ে বিতর্ক আছে। এখনও পর্যন্ত ভারতে শেষবার ফাঁসির সাজা কার্যকর করা হয় নির্ভয়া ধর্ষণ কাণ্ডে অভিযুক্ত মুকেশ সিং, অক্ষয় ঠাকুর, বিনয় শর্মা ও পবন গুপ্তাকে। এই চারজনকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল ২০০০ সালের ২০ মার্চ। চলতি শতকে ভারতে মোট আটজনকে ফাঁসি দেওয়া হয়। তারা হলেন- ধনঞ্জয় চ্যাটার্জি (১৪ অগাস্ট, ২০০৪), আজমল কাসভ (২১ নভেম্বর, ২০১২), আফজল গুরু (৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩), ইয়াবুক মেনন (৩০ জুলাই, ২০১৫ ও নির্ভয় খুন-ধর্ষমে অভিযুক্ চার আসামী (২০ মার্চ, ২০২০)।