Madras High Court: তবলিকি জমাতের ৩১ জন বিদেশিকে জামিনে মুক্তি দিল মাদ্রাজ হাইকোর্ট

তবলিকি জমাতের (Tablighi Jamaat) ৩১ জন বিদেশি ধর্ম প্রচারককে জামিন দিল মাদ্রাজ হাইকোর্টের মাদুরাই বেঞ্চ। মুক্তি পাওয়া ধর্ম প্রচারকদের মধ্যে ১১ জন বাংলাদেশি। বাকি ২০ জন ইন্দোনেশিয়ার নাগরিক। ৩১ জনের মুক্তির রায়ের পর এদের দেসে ফেরাতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থার জন্য বিচারপতি জি আর স্বামীনাথন রাজ্য ও কেন্দ্রকে নির্দেশ দেন। তবলিকি জমাতের এই ৩১ জনের বিরুদ্ধে ভিসার নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগ ছিল। নিয়ম ভেঙে ধর্ম প্রচারের অভিযোগেই এই বিদেশিদের গ্রেপ্তার করা হয়। আদালত জানিয়েছে, এই ৩১ জনই এখন দেশে পরিবারের কাছে ফিরতে মুখিয়ে আছে। সেকারণে ভিসার শর্ত লঙ্ঘন সংক্রান্ত হলফনামা দাখিলেও তারা সম্মতি দিয়েছে।

মাদ্রাজ হাইকোর্টের ফাইল ছবি (Photo Credits: PTI)

চেন্নাই, ১৬ জুন: তবলিকি জমাতের (Tablighi Jamaat) ৩১ জন বিদেশি ধর্ম প্রচারককে জামিন দিল মাদ্রাজ হাইকোর্টের মাদুরাই বেঞ্চ। মুক্তি পাওয়া ধর্ম প্রচারকদের মধ্যে ১১ জন বাংলাদেশি। বাকি ২০ জন ইন্দোনেশিয়ার নাগরিক। ৩১ জনের মুক্তির রায়ের পর এদের দেসে ফেরাতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থার জন্য বিচারপতি জি আর স্বামীনাথন রাজ্য ও কেন্দ্রকে নির্দেশ দেন। তবলিকি জমাতের এই ৩১ জনের বিরুদ্ধে ভিসার নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগ ছিল। নিয়ম ভেঙে ধর্ম প্রচারের অভিযোগেই এই বিদেশিদের গ্রেপ্তার করা হয়। আদালত জানিয়েছে, এই ৩১ জনই এখন দেশে পরিবারের কাছে ফিরতে মুখিয়ে আছে। সেকারণে ভিসার শর্ত লঙ্ঘন সংক্রান্ত হলফনামা দাখিলেও তারা সম্মতি দিয়েছে।

এই মুচলেকায় স্পষ্টভাবে লেখা থাকবে যে আগামী ১০ বছর ৩১ জনের কেউই ভারতে প্রবেশের অনুমতি পাবে না। দেশে ফেরার জন্য নিজেরাই দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করে ব্যবস্থা নেবে। ভারত সরকার এবিষয়ে কোনওরকম সহযোগিতা করবে না। কোর্টের তরফে জানানো হয় যে, আবেদন কারীদের অভিযোগ অনুযায়ী দোষীদের অপরাধ না মেলায় জামিন মঞ্জুরে সমস্যা হয়েছে। যে কারণে গ্রেপ্তারির পর ৭১ দিন কেটে গেলেও চূড়ান্ত রিপোর্ট এখনও পেশ করা সম্ভব হয়নি। দীর্ঘ কারাবাসকেই এদের যোগ্য শাস্তি হিসেবে ধরা হোক, এমনটাই আদালতের রায়। আরও পড়ুন-Satyendar Jain: কেজরিওয়ালের পর সত্যেন্দ্র জৈন, জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি দিল্লির স্বাস্থ্য মন্ত্রী

এই প্রসঙ্গে আদালত জানিয়েছে, মহামারী চলছে বিশ্বজুড়ে, এই পরিস্থিতিতে চিকিৎসা পরিষেবা অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়ছে। বিদেশ বিভুঁইয়ে ধর্ম প্রচার করতে এসে জেলে আটকে থাকা মানুষগুলোকে তাদের দেশে ফেরার সুযোগ দিতেই হয়। চেন্নাইয়ের ম্যানেজমেন্ট অফ জামিয়া কাসিমিয়া আরবি কলেজ এই মর্মে আদালতে আবেদন করে। এর পরেই মাদ্রাজ হাইকোর্টের তরফে তামিলনাড়ুর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর কাছে সেই আবেদন ভেবে দেখার নির্দেশিকা পাঠানো হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে জানানো হয় যে বন্দি ধর্ম প্রচারকরা যদি মুচলেকায় লেখেন যে ভিসা আইন ভাঙায় তারা লজ্জিত তাহলেই চূড়ান্ত রিপোর্ট পেশ করা হবে।