Chinmayanand Rape Case:ধর্ষণের অভিযোগে জেলবন্দি বিজেপি নেতা চিন্ময়ানন্দ, অন্যদিকে নির্যাতিতাকেই আটক করল পুলিশ
বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ স্বামী চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনা তরুণীকে আটক করল সিট। এদিন লখনউয়ের স্থানীয় আদালতে শুনানির জন্য হাজির হয়েছিলেন নির্যাতিতা। সেই সময় তাঁকে আদালতের চত্বর থেকেই একটি সরকারি গাড়িতে তুলে নেন বিশেষ তদন্তকারী দলের সদস্যরা। জেরার জন্য নির্যাতিতাকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে খবর। সিট(SIT) নির্যাতিতা তরুণীকে হেফাজতে নেওয়ার পরেই বিষয়টি খোলসা করে লখনউ পুলিশ।
লখনউ, ২৪ সেপ্টেম্বর: বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ স্বামী চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনা তরুণীকে আটক করল সিট। এদিন লখনউয়ের স্থানীয় আদালতে শুনানির জন্য হাজির হয়েছিলেন নির্যাতিতা। সেই সময় তাঁকে আদালতের চত্বর থেকেই একটি সরকারি গাড়িতে তুলে নেন বিশেষ তদন্তকারী দলের সদস্যরা। জেরার জন্য নির্যাতিতাকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে খবর। সিট(SIT) নির্যাতিতা তরুণীকে হেফাজতে নেওয়ার পরেই বিষয়টি খোলসা করে লখনউ পুলিশ। অভিযোগ, চিন্ময়ানন্দের থেকে মোটা অংকের তোলা আদায় করছেন নির্যাতিতা। এই মর্মে নাকি পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন চিন্ময়ানন্দ। সেই বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যই ওই তরুণীকে আদালত চত্বর থেকে তুলে নিয়ে গিয়েছে সিট।
উল্লেখ্য, চিন্ময়ানন্দের (Chinmayanand) থেকে ১০ কোটির তোলা আদায়ের চেষ্টা করেছেন নির্যাতিতা। এই ঘটনায় তাঁকে সঙ্গ দিয়েছেন আরও তিনজন। সম্প্রতি নারকীয় অত্যাচর নিয়ে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেন ওই আইনের ছাত্রী। সেখানে তাঁর কাছে এই তোলা প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে নির্যাতিতা বলেন, পুরোটাই সাজানো। চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে তিনি যে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন সেই ঘটনা থেকে মানুষের দৃষ্টি ঘোরাতেই এই তোলার প্রসঙ্গটি আনা হয়েছে। যাতে বিজেপি নেতা চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে ওটা অভিযোগের প্রমাণ কোনওভাবেই প্রকাশ্যে না আসে। সিটের হাতে তদন্তভার আসার আগেই গত শুক্রবার চিন্ময়ানন্দ গ্রেপ্তার হন। ৭২ বছরের বিজেপি নেতা এরপর জেল এড়াতে জামিনের আবেদনও করেছিলেন তবে নিম্ন আদালতে সেই আবেদন বাতিল হয়ে যায়। তাঁকে দায়রা আদালতে ফের জামিনের আবেদন করার পরামর্শ দেওয়া হয়। আরও পড়ুন-ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার বিজেপি নেতা চিন্ময়ানন্দের 'সন্ত'উপাধি কাড়া হচ্ছে
এদিকে চিন্ময়ানন্দ গ্রেপ্তার হল নির্যাতিতার মনে আশঙ্কা থেকেই গিয়েছে। কেননা ধৃত বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে আনা ধর্ষণের অভিযোগকে মান্যতা দেয়নি আদালত। যার প্রমাণ স্বরূপ বেশ কয়েকটি কুকীর্তির ভিডিও তিনি শেয়ারও করেছেন। তদন্তকারীরা চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে কোনও ধর্ষণের অভিযোগ আনেনি, উল্টে যৌন সঙ্গমের উল্লেখ করেছেন। যার শাস্তি হল পাঁচ বা ১০ বছরের কারাবাস ও আর্থিক জরিমানা।