Odisha: মেয়েকে সুস্থ করতে তান্ত্রিকের কাছে নিয়ে গিয়েছিল এক পরিবার, মাথায় সূঁচ গেঁথে নৃশংস অত্যাচার চালালো অভিযুক্ত

দীর্ঘ চারবছর ধরে অসুস্থ মেয়ে। চিকিৎসায় অনেক খরচ, তাই বাবা-মা ১৮ বছরের ওই যুবতিকে নিয়ে গিয়েছিলেন এক তান্ত্রিকের কাছে। তারপর যা হল তা কল্পনারও অতীত।

Jail, Representational Image (Photo Credit: IANS)

দীর্ঘ চারবছর ধরে অসুস্থ মেয়ে। চিকিৎসায় অনেক খরচ, তাই বাবা-মা ১৮ বছরের ওই যুবতিকে নিয়ে গিয়েছিলেন এক তান্ত্রিকের (Tantrik) কাছে। তারপর যা হল তা কল্পনারও অতীত। অসুস্থ মেয়ের ওপর অত্যাচার চালিয়ে আপাতত গারদের পেছনে অভিযুক্ত। সম্প্রতি এরকম পৈশাচিক ঘটনা ঘটেছে ওড়িশার বালঙ্গীর জেলায়। জানা যাচ্ছে, ওই যুবতির মাথায় কমপক্ষে ২০টি সূঁচ গেঁথে তন্ত্রসাধনা করছিল ওই তান্ত্রিক। প্রথমে মেয়েটির বাবা-মা এটি করার জন্য সম্মতি দিলেও পরবর্তীকালে যখন তাঁরা দেখে মেয়ের মাথা্ থেকে ক্রমশ রক্ত বেরোচ্ছে এবং সে যন্ত্রণায় ছটফট করছে তখন তাঁরা বাধ্য হয়ে নিজের মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করায়। আপাতত সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

ঘটনার সূত্রপাত সপ্তাহখানেক আগে। চার বছর ধরেই অসুস্থ ছিলেন ওই মহিলা। বিছানায় শয্যাশায়ী হয়ে পড়েছিল সে। বাবা মা অনেক জায়গায় ঘুরেও চিকিৎসা করাতে পারেননি। আর্থিকভাবে পেরে না উঠে শেষমেশ স্থানীয়দের থেকে খোঁজ পায় এই তান্ত্রিকের। তারপর সে তাঁর মেয়েকে নিয়ে যায়। প্রথমে মেয়েটিকে নিয়ে একটি ঘরে আধ ঘন্টার জন্য নিয়ে যায়। তারপরে সেখানে থেকে যখন সে যুবতিকে নিয়ে বেরোয় তখন তাঁর বাবা মা লক্ষ্য করে মাথায় অসংখ্য সূঁচ গেঁথে দেওয়া রয়েছে। তান্ত্রিক পরিবারকে আশ্বস্থ্য করে যে এবার তাঁদের মেয়ে সুস্থ হয়ে উঠবে।

কিন্তু মেয়ের শারীরিক অবস্থা অবনতি হতে দেখে মেয়েকে নিয়ে সোজা হাসপাতালে নিয়ে যায় তাঁর বাবা। রাস্তায় ৮টি সূঁচ বের করে সে। এরপর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সিটি স্ক্যান করে দেখা যায় মাথায় আরও ১০টি সূচ ঢুকে রয়েছে। এরপর চিকিৎসকরা মেয়েটির মস্তিকে অস্ত্রোপচার করে বাকিগুলি সফলভাবে বের করে। ঘটনাটি হাসপাতালে নিয়ে গেলেই সামনে আসে। তারপর থানায় অভিযোগ জানালে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।