Swami Vivekananda Death Anniversary : ৪ জুলাই স্বামী বিবেকানন্দের মৃত্যুবার্ষিকী, জানুন ১০টি আকর্ষণীয় বাণী যা আপনার জীবনের চলার পথে সাহায্য করবে

ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রাণপুরুষ স্বামী বিবেকানন্দ। তিনি ১৮৬৩ সালে ১২ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন এবং ৪ জুলাই ১৯০২ সালে মাত্র ৩৯ বছর বয়সে মারা যান।

Swami Vivekananda death anniversary (Photo Credit Wikimedia commons)

নয়াদিল্লি : ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রাণপুরুষ স্বামী বিবেকানন্দ। তিনি ১৮৬৩ সালে ১২ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন এবং ৪ জুলাই ১৯০২ সালে মাত্র ৩৯ বছর বয়সে মারা যান। তাঁর আসল নাম ছিল নরেন্দ্র নাথ দত্ত। বিবেকানন্দ নামটি তাঁকে তাঁর গুরু রামকৃষ্ণ পরমহংস (Ramakrishna Paramahamsa)  দিয়েছিলেন। স্বামী বিবেকানন্দ (Swami Vivekananda) ভারতের এমন একজন আধ্যাত্মিক শিক্ষক ছিলেন, যাঁর চিন্তা, যুক্তি ও বক্তৃতা শুধু দেশ নয়, বিশ্বের অনেক জায়গায় আলোড়ন ফেলেছিল। শিকাগোর সম্মেলনে তিনি 'আমার প্রিয় ভাই ও বোনেরা' দিয়ে বক্তৃতা শুরু করলে পুরো হল করতালিতে ফেটে পড়ে। তাঁর অমূল্য চিন্তা আজও মানুষকে অনুপ্রাণিত করে।

যোগ ও বেদান্তের দর্শনকে পশ্চিমে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে বিবেকানন্দ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। হিন্দুধর্ম ও আধ্যাত্মিকতার প্রতি বিবেকানন্দের গভীর অনুরাগ ছিল। তিনি ১৮৯৩ সালে শিকাগোতে বিশ্ব ধর্মের সংসদে তাঁর বক্তৃতার জন্য সবচেয়ে বেশি পরিচিত হন । স্বামী বিবেকানন্দ ছিলেন ভারতের আধ্যাত্মিক শিক্ষক, যিনি সমগ্র বিশ্বকে হিন্দুধর্ম এবং আধ্যাত্মিকতার পাঠ শিখিয়েছিলেন। অল্প বয়সে অর্জিত জ্ঞানের পর স্বামী বিবেকানন্দ যুবকদের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে ওঠেন। তার বেশিরভাগ বক্তৃতা ছিল তরুণদের উদ্দেশে। তিনি ১৮৯৭ খ্রিস্টাব্দে তারই সৃষ্টি ‘রামকৃষ্ণ মিশন’ এবং ১৮৯৯ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠা করেন ‘বেলুড় মঠ’।

বিবেকানন্দের শিক্ষা জীবন

শৈশব জীবন থেকেই তিনি সাহসী, কৌতূহল প্রিয়ই ছিলেন। প্রথম জীবনে গৃহশিক্ষকের কাছে প্রারম্ভিক শিক্ষা অর্জনের পরে মেট্রোপলিটন ইন্সটিটিউশন থেকে নরেন্দ্রনাথ প্রথম বিভাগে প্রবেশিকা পাশ করে প্রেসিডেন্সী কলেজে ভর্তি হন।তারপর সেখান থেকে ভর্তি হন স্কটিশ চার্চ কলেজ। এফ এ পাশ করে দর্শনশাস্ত্র নিয়ে বি এতে ভর্তি হন। এরপর ওই কলেজ থেকেই দর্শনশাস্ত্র নিয়ে তিনি স্নাতক হন৷

আধুনিক শিক্ষার প্রাণপুরুষ রূপে তিনি বলেন “Education is the manifestation of perfection already in man” অর্থাৎ তিনি বলেন মানুষের মধ্যে যে অন্তনিহিত সুপ্ত সম্ভাবনা লুকিয়ে রয়েছে তার পরিপূর্ণ বিকাশসাধনই হল শিক্ষা। তিনি বৃত্তি শিক্ষা, ধর্ম শিক্ষা, শারীরশিক্ষা, গণশিক্ষা ও সাধারণ শিক্ষাদান পদ্ধতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন।

স্বামী বিবেকানন্দের ১০টি আকর্ষণীয় বাণী

১. জেগে ওঠো জাগো এবং তোমার লক্ষ্যে না পৌঁছা পর্যন্ত থামো না।

২. পৃথিবী হল একটি ব্যায়ামাগার যেখানে আমরা নিজেদেরকে শক্তিশালী করতে আসি।

৩. একবারে একটি কাজ করুন এবং এটি করার সময় আপনার আত্মা দিয়ে করুন এবং বাকি সবকিছু ভুলে যান।

৪. অধ্যয়নের জন্য একাগ্রতা প্রয়োজন, একাগ্রতার জন্য ধ্যান আবশ্যক। শুধুমাত্র ধ্যানের মাধ্যমে আমরা ইন্দ্রিয়ের উপর সংযম রেখে একাগ্রতা অর্জন করতে পারি।

৫. যদি পরিস্থিতির উপর আপনি শক্ত হয়ে হাল ধরে থাকতে পারেন, তাহলে এমন কেউ যে বিষ ছড়ায় সেও আপনার ক্ষতি করতে পারবে না।

৬. নিজেকে দুর্বল মনে করলে দুর্বল হয়ে পড়বেন, নিজেকে শক্তিশালী মনে করলে শক্তিশালী হয়ে উঠতে হবে ।

৭ . আপনাকে নিজের চেষ্টাই সবকিছু শিখতে হবে। কেউ আপনাকে শিক্ষা দিতে পারে না, আপনাকে আধ্যাত্মিক করতে পারে না। যদি কেউ এই সব শেখাতে পারে তবে এটি কেবল আপনার আত্মা।

৮. ঝুঁকি নিতে ভয় পাবেন না, যদি আপনি জেতেন তাহলে আপনি নেতৃত্ব দিতে পারবেন। আপনি যদি হেরে যান তবে আপনি অন্যকে গাইড করতে পারেন।

৯ . মহাবিশ্বের সমস্ত ক্ষমতা ইতিমধ্যেই আমাদের।

১০ . যখনই মন এবং হৃদয়ের মধ্যে দ্বন্দ্ব হবে তখন আপনার হৃদয়ের কথা শুনুন।