Aligarh Muslim University: ১৯৬৭ সালের রায় খারিজ করে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়কে সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি দিল সুপ্রিম কোর্ট
ভারতীয় সংবিধানের ৩০ ধারা অনুসারে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়কে সংখ্যালঘু মর্যাদা দেওয়া হয়েছে।
আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়কে (Aligarh Muslim University) সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। ভারতীয় সংবিধানের ৩০ ধারা অনুসারে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়কে সংখ্যালঘু মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে সাত সদস্যের বেঞ্চ এই রায় দিয়েছে। সাত সদস্যের বেঞ্চে ৪:৩ বিভাজনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে যুগান্তকারী এক রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। জানা যাচ্ছে, প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়, বিচারপতি সঞ্জীব খান্না, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্র আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়কে সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি দেওয়ার পক্ষে রায় দিয়েছে। অন্যদিকে বিচারপতি সূর্যকান্ত, বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত, বিচারপতি এসসি শর্মা ভিন্ন মন পোষণ করেছেন।
১৯৬৭ সালে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশেই সংখ্যালঘুর মর্যাদা হারিয়ে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়। সেই রায়ে বলা হয়েছিল, কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকেই সংখ্যালঘুর তকমা দেওয়া যেতে পারে না। এরপর ১৯৮১ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভা আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়কে তার সংখ্যালঘু মর্যাদা ফিরিয়ে দিয়ে সংশোধনী করা হয়। কিন্তু ২০০৬ সালে এলাহবাদ হাইকোর্ট AMU সংশোধনী বাতিল করে এটিকে 'অসংবিধানিক' বলে ঘোষণা করে। এলাহবাদ হাইকোর্টের সেই সিদ্ধান্তকে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করে কেন্দ্রীয় সরকার।
আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়কে সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি দিল সুপ্রিম কোর্ট...