Sudip Bandyopadhyay: সর্বদলীয় বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতেই কেন্দ্রের সমালোচনা তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের

শনিবার সর্বদল বৈঠকে ছিলেন তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ, শিরোমনি অকালি দল নেতা বলবিন্দার সিং-সহ বিভিন্ন দলের নেতারা। সেখানে তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, কংগ্রেস লোকসভায় বাজেট ও রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আলোচনায় অংশ নেবে। দেশের সামনে এখন সবচেয়ে বড় ইস্যু হল কৃষি আইন। সরকারকে সদর্থক ভূমিকা নিতে হবে। গতকাল রাষ্ট্রপতির ভাষণের সমালোচনা আমরা করতে চাই না। কিন্তু, যখন ২০টি বিরোধী দল সেই ভাষণ বয়কট করল, সরকারের উচিত বিরোধীদের দৃষ্টিভঙ্গি বিবেচনা করা। লোকসভায় একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকার ফলে কৃষকদের সঙ্গে অবিচার হওয়া উচিত না।

তৃণমূল সাংসদ সুদীপ ব্যানার্জি (Picture Source: Facebook)

নতুন দিল্লি, ৩০ জানুয়ারি: শনিবার সর্বদলীয় বৈঠকে (All Party Meeting) ছিলেন তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় (Sudip Bandyopadhyay), কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ, শিরোমনি অকালি দল নেতা বলবিন্দার সিং-সহ বিভিন্ন দলের নেতারা। সেখানে তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, কংগ্রেস লোকসভায় বাজেট ও রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আলোচনায় অংশ নেবে। দেশের সামনে এখন সবচেয়ে বড় ইস্যু হল কৃষি আইন (Farmers Law)। সরকারকে সদর্থক ভূমিকা নিতে হবে। গতকাল রাষ্ট্রপতির ভাষণের সমালোচনা আমরা করতে চাই না। কিন্তু, যখন ২০টি বিরোধী দল সেই ভাষণ বয়কট করল, সরকারের উচিত বিরোধীদের দৃষ্টিভঙ্গি বিবেচনা করা। লোকসভায় একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকার ফলে কৃষকদের সঙ্গে অবিচার হওয়া উচিত না।

আমাদের দাবি, এই আইন নিঃশর্তে বাতিল করা হোক। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সর্বদলীয় বৈঠক ডাকুন। সেখানে শুধু সংসদীয় নেতাদের নয়, দলের প্রধান নেতা ও নেত্রীকে ডাকা হোক। এই আইন নিয়ে চুলচেরা আলোচনা হোক। এর মধ্যে দিয়ে দেশের কাছে সদর্থক বার্তা যাবে, যে সরকার গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া মেনে কাজ করছে। দলের তরফে এটাই আমার আবেদন।

আরও পড়ুন, সিংঘু, গাজিপুর এবং টিকরি সীমান্তে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা

আমি প্রত্যেকটি বৈঠকে একটা বিষয়ে সবসয় উঠিয়ে থাকি, সেটি হল বেকারত্ব। বেকার যুবক, যুবতীরা অনিশ্চয়তার সাথে লড়ছে। দেশজুড়ে এক ভয়াবহ পরিস্থিতি। কীভাবে তাদের দিশা দেওয়া যায়, সরকারি চাকরির মাধ্যমে তাদের কষ্ট আদৌ লাঘব করা যায় কিনা, এ নিয়ে সংসদে বিশদে আলোচনা হওয়া উচিত।

আমরা একটি ছোট রাজনৈতিক দল। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের অসহযোগিতার ফলে রাজ্য সরকার কাজ করতে পারছে না। কেন্দ্র, রাজ্য দুই সরকারই জনগণ দ্বারা নির্বাচিত। আমাদের দেশে যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো রয়েছে। কিন্তু, এই পরিকাঠামোর চরিত্র ও দর্শন নিয়ে সংসদে আলোচনা প্রয়োজন। পররাষ্ট্র নীতিতে আমরা কেন্দ্রীয় সরকারের পাশেই থাকি। কিন্তু, আমি অন্যদের সঙ্গে একমত, চিন ও পাকিস্তানের সঙ্গে সমস্যাগুলি আলোচনা হওয়া উচিত, যখন বিদেশ মন্ত্রকের বাজেট নিয়ে আলোচনা হবে।

খাদ্য, ক্রেতা সুরক্ষা এবং গণবন্টন দপ্তরের স্থায়ী কমিটির সভাপতি হিসেবে আমার একটি কথা বলার আছে। 'এক দেশ, এক রেশন কার্ড' নীতি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, প্রক্রিয়া চলছে। এই বিষয়ে অনেক বৈঠক হয়েছে, আমিও সেই বৈঠকে ছিলাম। আমি সংসদে একটি রিপোর্টও পেশ করব। কিন্তু, রাষ্ট্রপতির ভাষণে দাবি করা হয়েছে যে 'এক দেশ, এক রেশন কার্ড' নীতি চালু হয়ে গেছে দেশে। এই বিষয়ে আমার সরকারের কাছে স্পষ্ট ব্যাখ্যা চাই। স্থায়ী কমিটিতে যখন আলোচনা চলছে, এমনকি ১৫ দিন আগেও যেখানে বৈঠক হল, সেখানে এই ঘোষণা কেন করলেন মাননীয় রাষ্ট্রপতি মহাশয়?

আমার বিশ্বাস, সংসদীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হবে যদি ধর্মনিরপেক্ষতার দর্শন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এবং দেশের ঐক্য যথাযথভাবে প্রতিফলিত হয়।

আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, প্রহ্লাদ জীর বক্তব্য শুনব। আপনারা এই সর্বদলীয় বৈঠকের আয়োজন করেছেন। আমি আবারও সব দলের নেতাদের শুভেচ্ছা জানাই।