Lockdown Crisis: ২০০০ কিমি পথ পেরিয়ে বাড়ি ফিরতে ট্যাক্সিভাড়া চাইল ৬০, ০০০ টাকা, নাজেহাল অবস্থা দুই ছাত্রের
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ইরান (Iran) শহর থেকে দুই ছাত্র আসলে দিন ৪০ ধরে রাজস্থানের (Rajasthan) জয়সলমীর জেলায় তাঁদের আইসোলেশনে রাখা হয়। অনেকদিন হয়ে যাওয়ায় তাদের নিজেদের বাড়িতে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। দেশব্যাপী লকডাউন পরিস্থিতি এবং পরিবহণের কোনও মাধ্যম অনুপস্থিত। মিনহাজ আলম, তেহরানের আল্লাহমেদ তাবতাবাই বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর নিয়ে পড়াশুনা করছেন এবং কাশ্মীর ও লাদাখের তীর্থযাত্রীদের যাদের সরিয়ে নেওয়া হচ্ছিল তাদের অংশ ছিলেন। তিনি জানিয়েছেন কেন্দ্রের কর্তৃপক্ষ তাঁকে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলায় তাঁর বাড়িতে পৌঁছানোর জন্য পরিবহণের ব্যবস্থা করতে বলেছিলেন। যা জয়সালমার থেকে প্রায় ২০০০ কিলোমিটার দূরে।
নতুন দিল্লি, ২৬ এপ্রিল: করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ইরান (Iran) থেকে দুই ছাত্র আসলে দিন ৪০ ধরে রাজস্থানের (Rajasthan) জয়সলমীর জেলায় তাঁদের আইসোলেশনে রাখা হয়। অনেকদিন হয়ে যাওয়ায় তাদের নিজেদের বাড়িতে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। দেশব্যাপী লকডাউন পরিস্থিতি এবং পরিবহণের কোনও মাধ্যম অনুপস্থিত। মিনহাজ আলম, তেহরানের আল্লাহমেদ তাবতাবাই বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর নিয়ে পড়াশুনা করছেন এবং কাশ্মীর ও লাদাখের তীর্থযাত্রীদের যাদের সরিয়ে নেওয়া হচ্ছিল তাদের অংশ ছিলেন। তিনি জানিয়েছেন কেন্দ্রের কর্তৃপক্ষ তাঁকে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলায় তাঁর বাড়িতে পৌঁছানোর জন্য পরিবহণের ব্যবস্থা করতে বলেছিলেন। যা জয়সালমার থেকে প্রায় ২০০০ কিলোমিটার দূরে।
মিনহাজ বলেন, ট্যাক্সি (Taxi) এই পরিষেবার জন্য ৬০, ০০০ টাকা চায়। ছেলেটি জানায়,
“আমার সঙ্গে ফিরে আসা কাশ্মীরের তীর্থযাত্রী এবং শিক্ষার্থীদের বাড়িতে পাঠানো হচ্ছে, তবে আমাকে নিজে থেকে বাড়ি যেতে বলা হচ্ছে। কেন এই বৈষম্য? আমি একটি পূর্ণ অর্থায়িত স্কলারশিপ নিয়ে ইরানে পড়াশোনা করতে গিয়েছিলাম। আমার পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে আমি ৬০, ০০০ টাকা ব্যয় করতে পারি না। আমি আশা করি সরকার কিছু ব্যবস্থা নেবে।" আরও পড়ুন, দেশে করোনা আক্রান্ত ২৫ হাজারের কাছে, রাজ্যে আক্রান্ত বেড়ে ৪২৩
রাজস্থানের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব রোহিত কুমার সিংহ দ্বারা প্রকাশিত বিবরণ অনুসারে, জয়সলমীরে সেনাবাহিনীর তল্লাশিতে থাকা ইরান থেকে আসা ৪৫৭ জন যাত্রীকে গত তিন দিনে তিনটি ব্যাচে শ্রীনগর ও লাদাখে যার যা নিজের বাড়িতে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায়, মিনহাজের পরিবারকে ফোনে জয়সলমীর কেন্দ্রের কর্তৃপক্ষ কর্তৃক জানানো হয়েছিল যে তাদের ফিরে আসার ব্যবস্থা করতে হবে। আলমের ভাই মীরাজ বলেছিলেন, "আমাদের স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল যে তাকে ইরান বা শ্রীনগরে ফেরত পাঠানো তাদের পক্ষে সহজ ছিল।"
মিনহাজের সঙ্গে ফিরে আসা আরেক শিক্ষার্থী মোহাম্মদ জানান, বিহারের মুজাফফরপুর জেলায় তাঁর পরিবার আইসোলেশন কেন্দ্র থেকে একই রকম কল পেয়েছিল।
১৫ ই মার্চ থেকে মিনহাজের চারটি কোভিড -১৯ পরীক্ষা হয়েছে যখন তিনি ফিরেছেন এবং তার প্রতিটি ফলাফল নেগেটিভই এসেছে। প্রতিরক্ষা মুখপাত্র কর্নেল সমিত ঘোষ বলেছেন, সেনাবাহিনী কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্রগুলি বজায় রাখে এবং পরিচালনা করে তবে এই জায়গাগুলিতে কোয়ারান্টিনের আওতাধীনদের চলাচল সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক দ্বারা। যারা এই কেন্দ্রগুলিতে বাধ্যতামূলক বিচ্ছিন্নতা সম্পন্ন করেছেন তাদের ফিরিয়ে দেওয়ার সুবিধার্থে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের মুখপাত্র বসুধা গুপ্ত বলেন, এ বিষয়ে তাঁর কাছে কোনও তথ্য নেই।
(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)