Coronavirus Lockdown: লকডাউনে ভিন রাজ্যে আটকে ছেলে, ১৪০০ কিমি বাইক চালিয়ে ফিরিয়ে আনলেন মা
দেশজুড়ে জারি লকডাউন (Coronavirus Lockdown)। সেই কারণে বন্ধ হয়ে গেছে কাজও। কয়েকদিন আগেই সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল বহু ছবি, তাতে দেখা গেছিল কাজ হারিয়ে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। ট্রেন-বাস বন্ধ উপায় নেই তাই পায়ে হেঁটেই ফিরছেন তাঁরা। কাতারে কাতারে শ্রমিকরা হাঁটতে শুরু করেছেন জাতীয় সড়ক ধরে। তবে এবার আর একজনের কথা বলব। তিনি মা। তাই ভিন রাজ্যে আটকে পড়া সন্তানের জন্য ১৪০০ কিলোমিটার বাইক চালালেন তিনি। এরপর তাঁকে নিয়ে ফিরলেন বাড়ি। ঘটনাটি তেলাঙ্গানার (Telangana) হায়দরাবাদের।
হায়দরাবাদ, ১০ এপ্রিল: দেশজুড়ে জারি লকডাউন (Coronavirus Lockdown)। সেই কারণে বন্ধ হয়ে গেছে কাজও। কয়েকদিন আগেই সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল বহু ছবি, তাতে দেখা গেছিল কাজ হারিয়ে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। ট্রেন-বাস বন্ধ উপায় নেই তাই পায়ে হেঁটেই ফিরছেন তাঁরা। কাতারে কাতারে শ্রমিকরা হাঁটতে শুরু করেছেন জাতীয় সড়ক ধরে। তবে এবার আর একজনের কথা বলব। তিনি মা। তাই ভিন রাজ্যে আটকে পড়া সন্তানের জন্য ১৪০০ কিলোমিটার বাইক চালালেন তিনি। এরপর তাঁকে নিয়ে ফিরলেন বাড়ি। ঘটনাটি তেলাঙ্গানার (Telangana) হায়দরাবাদের।
অন্ধপ্রদেশের নেল্লোরে আটকে পড়েছিল ছেলে। বাড়ি থেকে কয়েকশো কিমি দূরে। তাই তাঁকে ফিরিয়ে আনতে গেলেন মা। রাজিয়া বেগম (Razia Begum) পেশায় শিক্ষিকা, বছর পঞ্চাশের এই মহিলা হায়দরাবাদের নিজামাবাদ জেলা থেকে ১৪০০ কিলোমিটার দূরে অন্ধপ্রদেশের নেল্লোর (Nellore) যান বাইকে করে। সোমবার সকালে পুলিশের অনুমতি নিয়ে হায়দরাবাদ থেকে নেল্লোরের উদ্দেশ্যে পাড়ি দেন তিনি। মঙ্গলবার বিকেলে তিনি নেল্লোর পৌঁছান। এরপর ছেলে মহম্মদ নিজামুদ্দিনকে নিয়ে বুধবার সন্ধেয় বাড়ি ফিরে আসেন। তিনদিনের এই যাত্রাপথ ছিল মোট ১৪০০ কিলোমিটার। পথে বেশ কয়েকবার গাড়িতে তেল ভরার জন্য তাঁকে দাঁড়াতে হয়েছে। মাঝে জল তেষ্টা পেয়েছে। তখনও দাঁড়িয়েছেন, খেয়েছেন। আরও পড়ুন: Coronavirus Cases In India: গত ১২ ঘণ্টায় নতুন আক্রান্ত ৫৪৭, দেশে মারণ ভাইরাসের কবলে ৬৪১২ জন, মৃত ১৯৯
রাজিয়া বেগমের এক ছেলে ও এক মেয়ে। ছেলে নিজামুদ্দিন হায়দরাবাদে ডাক্তারি পরীক্ষায় বসার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন এবং লকডাউন চালু হওয়ার পর বন্ধুর অসুস্থ বাবাকে সাহায্য করার জন্য নেল্লোর যান। লকডাউনে ছেলের আটকে পড়ার কথা শুনে নিজামুদ্দিনের মা রাজিয়া স্থানীয় পুলিশ আধিকারিক জয়পাল রেড্ডির কাছে যান, যিনি তাঁকে কারফিউ পাস দিয়েছিলেন। ব্যাগে কিছু খাবার নিয়ে রাজিয়া বেগম ছেলেকে ফিরিয়ে আনতে নেল্লোর যাত্রা শুরু করেন। তেলাঙ্গানা ও অন্ধ্রপ্রদেশ উভয় পুলিশের একাধিক চৌকিতে রাজিয়া বেগমকে থামানো হয়। যদিও পুলিশ তাঁকে আশ্রয় দিয়ে সাহায্য করে।
(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)