IMEE EC: নয়া অর্থনৈতিক করিডোর গড়ার উদ্যোগ, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে চুক্তিতে সই ভারত-সহ সাতটি দেশের
নয়া অর্থনৈতিক করিডোর তৈরি করতে ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী, সৌদি আরব, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন কমিশন ভারত-মধ্যপ্রাচ্য-ইউরোপ অর্থনৈতিক করিডোর (আইএমইই ইসি) প্রতিষ্ঠার জন্য সমঝোতা চুক্তিতে সই করল।
নয়াদিল্লি: নয়া অর্থনৈতিক করিডোর (Economic Corridor) তৈরি করতে ভারত (India), মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (USA), সংযুক্ত আরব আমিরশাহী (UAE), সৌদি আরব (Saudi Arabia), ফ্রান্স (France), জার্মানি (Germany), ইতালি (Italy) এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন কমিশন (European Union Commission) ভারত-মধ্যপ্রাচ্য-ইউরোপ অর্থনৈতিক করিডোর (আইএমইই ইসি) (India-Middle East-Europe Economic Corridor) প্রতিষ্ঠার জন্য সমঝোতা চুক্তিতে সই করল। জি ২০ সম্মেলনে সই হওয়া এই চুক্তির ফলে তৈরি হওয়া নয়া অর্থনৈতিক করিডোর এশিয়া, পশ্চিম এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্য এবং ইউরোপের মধ্যে বর্ধিত সংযোগ এবং অর্থনৈতিক একত্বীকরণের মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়নকে (economic development) উৎসাহিত করবে এবং বাড়াবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ভারত সরকারের আধিকারিকদের সূত্রে জানা গেছে, ভারত-মধ্যপ্রাচ্য-ইউরোপ অর্থনৈতিক করিডোরটি মূলত দুটি পৃথক করিডোর নিয়ে গঠিত হবে। প্রথমটি পূর্ব করিডোর (East Corridor) যা ভারতকে পশ্চিম এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে সংযুক্ত করবে এবং দ্বিতীয় উত্তর করিডোরটি (Northern Corridor) পশ্চিম এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যকে যুক্ত করবে ইউরোপের সঙ্গে। এতে একটি রেললাইন অন্তর্ভুক্ত থাকবে। যার কাজ সমাপ্ত হলে, একটি নির্ভরযোগ্য এবং সাশ্রয়ী আন্তঃসীমান্ত জাহাজ-টু-রেল ট্রানজিট নেটওয়ার্ক তৈরি হবে। যার ফলে দেশগুলির পরিবহন রুটগুলির পরিপূরক হবে এই করিডোর এবং এর ফলে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে পণ্য ও পরিষেবার পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পাবে। এতে ভারত থেকে পশ্চিম এশিয়া ও মধ্য পূর্ব ইউরোপের মধ্যে যোগাযোগ আরও দ্রুত হবে।
এই সমঝোতা চুক্তির ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থা, লজিস্টিকস ও ফ্রেট অবকাঠামো, ক্লিন এনার্জি এবং হাইড্রোজেন উৎপাদন এবং এনার্জি ট্রান্সমিশন অবকাঠামোর ক্ষেত্রে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার উন্নয়নের সুযোগ তৈরি করবে। এটি লজিস্টিকস এবং পরিবহন সেক্টরে পরিকাঠামোকে সহজতর ও উন্নত করবে এবং ভারতে উল্লেখযোগ্য ক্ষমতার বিকাশের দিকে নিয়ে যাবে, যার ফলে আমাদের স্বনির্ভরতা বৃদ্ধি পাবে। এটি মেক ইন ইন্ডিয়া, সাগরমালা এবং আত্মনির্ভর ভারত-এর মতো যুগান্তকারী উদ্যোগের দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।