Nirbhaya Convicts Hanging: মেয়ের বিয়ের জন্য টাকা দরকার, ফাঁসি দেওয়ার জন্য প্রস্তুত: ফাঁসুড়ে পবন জল্লাদ

২২ জানুয়ারি দিল্লির তিহার জেলে ফাঁসি হবে নির্ভয়াকাণ্ডে (Nirbhaya Case) চার আসামির। ফাঁসি দেবেন উত্তরপ্রদেশের মেরঠের বাসিন্দা পবন জল্লাদ (Hangman Pawan Jallad)। আর এই কাজ পাওয়ার জন্য তিনি ভগবানকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, "আমি কষ্টে আছি। আমি যদি ওই চার আসামিকে (তিহারে) ফাঁসি দিই, তবে সরকার আমাকে ১ লাখ টাকা পুরস্কার দেবে। আমার মেয়ের বিয়ের জন্য এই টাকা দরকার আছে।" ৫৭ বছরের পবন আরও বলেন, "কয়েক মাস ধরে আমি এই সুযোগের অপেক্ষায় ছিলাম। ভগবান আমার প্রার্থনা শুনেছেন।"

ফাঁসুড়ে পবন জল্লাদ (Photo: IANS)

মেরঠ, ১৩ জানুয়ারি: ২২ জানুয়ারি দিল্লির তিহার জেলে ফাঁসি হবে নির্ভয়াকাণ্ডে (Nirbhaya Case) চার আসামির। ফাঁসি দেবেন উত্তরপ্রদেশের মেরঠের বাসিন্দা পবন জল্লাদ (Hangman Pawan Jallad)। আর এই কাজ পাওয়ার জন্য তিনি ভগবানকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, "আমি কষ্টে আছি। আমি যদি ওই চার আসামিকে (তিহারে) ফাঁসি দিই, তবে সরকার আমাকে ১ লাখ টাকা পুরস্কার দেবে। আমার মেয়ের বিয়ের জন্য এই টাকা দরকার আছে।" ৫৭ বছরের পবন আরও বলেন, "কয়েক মাস ধরে আমি এই সুযোগের অপেক্ষায় ছিলাম। ভগবান আমার প্রার্থনা শুনেছেন।"

বর্তমানে কাঁশীরাম আবাস যোজনায় মেরঠ প্রশাসন পবনকে একটি ঘর দিয়েছে। আপাতত সেখানেই তাঁকে থাকতে বলা হয়েছে। উত্তরপ্রদেশ জেল কর্তৃপক্ষ তাঁকে জেলা থেকে বের হতে সতর্ক করেছেন। এই বিষয়ে পবন বলেন, "আমি ২২ জানুয়ারির জন্য নিজেকে প্রস্তুত করছি। তাঁরা (আধিকারিকরা) আমাকে বলেছে, সামনের যে কোনও দিন আমাকে এখান থেকে তিহারে যেতে হবে। আমাকে অনেকটা আগেই পৌঁছোতে হবে। কারণ সবকিছু সুষ্ঠুভাবে যাতে হয় তা নিশ্চিত করার জন্য আমাদের প্রচুর রিহার্সাল করতে হবে।" আরও পড়ুন:  Nirbhaya Convicts Hanging: নির্ভয়াকাণ্ডে দোষীসাব্যস্ত চার আসামির ফাঁসির মহড়া হল তিহার জেলে

পবনরা চার পুরুষ ধরে ফাঁসুড়ের কাজ করছেন। মেরঠের ভূমিয়াপুল এলাকার লক্ষ্মণ কুমার পরিবারের চতুর্থ প্রজন্ম হলেন পবন। তাঁর কাছে কোনও প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করার আগেই তিনি পরিবারের খারাপ আর্থিক অবস্থাটি বর্ণনা করেন ও বলেন, "উত্তরপ্রদেশ জেল প্রশাসন আমাকে মাত্র ৫ টাকা (প্রতি মাসে) দেয়। আমার উপার্জনের আর কোনও উৎস নেই। শুধু ফাঁসি দিলেই সংসার চলবে।"

পবন বলেন, "আমার মেয়ে বড় হয়েছে। তবে তাকে বিয়ে দেওয়ার মতো টাকা আমার নেই। আমার পৈতৃক বাড়িটি জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। সংস্কারের জন্য আমার কোনও তহবিল নেই। আমার এমনিতেই ধারবাকি রয়েছে। বিশ্বাস করুন, এই নির্ভয়াকাণ্ডে অপরাধীদের ফাঁসি দেওয়ার অর্থ আমাকে জীবনের নতুন করে বাঁচতে সাহায্য করবে।"

কীভাবে আপনাকে টাকা দেবে সরকার? পবন জল্লাদের ব্যাখ্যা, "প্রত্যেক ফাঁসি কার্যকর করার জন্য একজন ফাঁসুড়ে ২৫ হাজার টাকা পায়। যেহেতু সেখানে চারজন মৃত্যুদণ্ডের আসামি রয়েছে (নির্ভয়া মামলায়) তাই আমি এক লাখ টাকা পাব। এটি একটি বড় পুরস্কার। এর আগে আমার দাদু কালুরামকে (ওরফে কল্লু) ফাঁসির জন্য মাত্র ২০০ টাকা দিত। আমার মনে আছে ১৯৮৯ সালে আমি ধর্ষণ ও হত্যা মামলার ফাঁসির সাজা কার্যকর করতে আগ্রা কেন্দ্রীয় কারাগারে গেছিলাম। আমার দাদা দড়ি পরিয়েছিলাম। আমার দাদু ফাঁসির দড়ি টেনছিলেন। আর এর জন্য আমরা মাত্র ২০০ টাকা পেয়েছিলাম।"

পবন জানান, তাঁর বাবা মাম্মু জল্লাদও উত্তর ভারতের একজন প্রখ্যাত ফাঁসুড়ে ছিলেন। তাঁর বাবা এবং দাদু প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে হত্যায় দোষী সাতয়ন্ত সিং ও কেহার সিং-র ফাঁসি কার্যকর করেছিলেন। সাধারণ মানুষের মধ্যে একটি মিথ আছে যে ফাঁসুড়েরা মদ্যপান করেন। এই বিষয়টি একেবারে মিথ্যা বলেছেন পবন। তিনি বলেন, "বিশ্বাস করুন, আমি কখনই মদ্যপান করি না। এটাও মিথ্যা যে ফাঁসি দেওয়ার আগে আমরা মদ্যপান করি। দড়ি টানার পর আমরা শান্ত ও সংযত হয়ে পড়ি। এটি আমাদের কাজ।"

(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)

Share Now

Share Now