Uttar Pradesh: মসজিদে জাতীয় সংগীত পরিবেশনে বিরোধিতা, গ্রেপ্তার প্রবীণ মুসলিম শিক্ষাবিদ

আগ্রার জামা মসজিদের ভিতরে জাতীয় সংগীত (National Anthem) গাওয়া ‘ইসলাম বিরোধী’ একটি কাজ৷ এহেন মন্তব্য করে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার হয়েছেন বিশিষ্ট মুসলিম শিক্ষাবিদ শাহের মুফতি (Prominent Muslim cleric) মাজিদুল কুদ্দুস খুবায়েব রুমি (৭৫)৷

প্রতীকী ছবি(Photo Credit: ANI)

আগ্রা, ১৯ আগস্ট: আগ্রার জামা মসজিদের ভিতরে জাতীয় সংগীত (National Anthem) গাওয়া ‘ইসলাম বিরোধী’ একটি কাজ৷ এহেন মন্তব্য করে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার হয়েছেন বিশিষ্ট মুসলিম শিক্ষাবিদ শাহের মুফতি (Prominent Muslim cleric) মাজিদুল কুদ্দুস খুবায়েব রুমি (৭৫)৷ স্থানীয় নেতা তথা ওই মসজিদ কমিটির সদস্য হাজি আসলাম কুরেশি মুফতির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছেন৷ জানা গেছে, দিন দুই আগে স্থানীয় বিজেপি নেতা আশফাক সাইফি দলবল নিয়ে মসজিদে ঢুকে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন ও স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সবাই মিলে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করে৷ এই ঘটনার বিরোদিতা করেছিলেন রুমি৷ ইতিমধ্যেই রুমিক বক্তব্যের একটি অডিও ক্লিপ পুলিশের হাতে এসেছে৷

যেখানে মুফতি মসজিদের মধ্যে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের সমালোচনা করছেন এবং বলছেন এটি একটি অপবিত্র কাজ৷ এফআইআরএ মুফতি পুত্র হামদুল কুদ্দুসেরও নাম রয়েছে৷ মান্টোলা থানার পুলিশকর্তা বিনোদ কুমার জানিয়েছেন, ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩-র বি, ৫০৫, ৫০৮ এবং  National Honour Act, 1971 অনুযায়ী ৩ ধারায় মামলা রুজু হয়েছে৷ অভিযোগকারী বিজেপি নেতার মন্তব্যের একটি অডিও প্রকাশ্যে এসেছে৷ যেখানে তিনি বলছেন, “মুফতি রুমি জনসাধারণের শান্তি ও সম্প্রীতি নষ্টের চেষ্টা করছেন৷ মুফতি ও তাঁর ছেলের বোঝা উচিতে যে তাঁরা যৌথভাবে জাতীয় সম্মানের অবমাননা করেছে৷   তাঁদের ক্ষমা চাওয়া উচিত৷ আমরা মসজিদে জাতীয় পাতাক উত্তোলন করে জাতীয় সংগীত গেয়েছি৷   ‘ভারত মাতা কি জয়’ স্লোগান দিয়েছি৷ এই অনুষ্ঠানকে ঘিরে এক অপ্রোজনীয় বিতর্ক তৈরি করচেন মুফতি ও তাঁর ছেলে৷” আরও পড়ুন-Meerut Shocker: যোগীর রাজ্য নরবলি!, মন্দিরে উদ্ধার তরুণীর গলাকাটা ঝুলন্ত দেহ

যদিও স্থানীয় মুসলিম নেতৃত্ব মুফতিকেই সমর্থন জানিয়েছেন৷ তাঁদের দাবি, সবসময় মসজিদের প্রধান প্রবেশপথের মুখে জাতীয় পতাকা উত্তোলন হয়৷ মসজিদের ভিতরে আগে কখনও এমনটা ঘটেনি৷ ভারতীয় মুসলিম বিকাশ পরিষদের সভাপতি সামি আগা বলেন, “ধর্মীয় স্থানের প্রবেশপথেই সবসময় পতাকা উত্তোলন করা হয়৷ মূলত আসন্ন নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক স্বার্ত চরিতার্থে এই বিতর্ক তৈরি করা হল৷ শাহের মুফতি আমাদের কাছে পিতার সমান৷ তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে গোটা সম্প্রদায়কেই অপমান করা হল৷”