দলীয় কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের? পুলিশ কর্তার চাকরি খেয়ে নেওয়ার হুমকি দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী(দেখুন ভিডিও)

“বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হলে আপনার ইউনিফর্মটাই আর থাকবে না।” বিহারের এক পুলিশকর্তাকে ঠিক এই ভাষাতেই হুমকি দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী কুমার চৌবে (Union Minister Ashwini Choubey)। গত সোমবার চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের বক্সার জেলায়। বক্সার অশ্বিনী কুমার চৌবের লোকসভা কেন্দ্র। সেই হুমকির ভিডিওটি ভাইরাল হতেই বিজেপি নেতার গুণকীর্তি প্রকাশ্যে এসেছে।

অশ্বিনী চৌবে(Photo Credits: PTI)

দিল্লি, ২৪ সেপ্টেম্বর: “বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হলে আপনার ইউনিফর্মটাই আর থাকবে না।” বিহারের এক পুলিশকর্তাকে ঠিক এই ভাষাতেই হুমকি দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী কুমার চৌবে (Union Minister Ashwini Choubey)। গত সোমবার চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের বক্সার জেলায়। বক্সার অশ্বিনী কুমার চৌবের লোকসভা কেন্দ্র। সেই হুমকির ভিডিওটি ভাইরাল হতেই বিজেপি নেতার গুণকীর্তি প্রকাশ্যে এসেছে। সোমবার তিনি বক্সারে জনতার দরবার বসিয়েছিলেন। সেখানে এক বিজেপি কর্মী ওই পুলিশকর্তার বিরুদ্ধে সাংসদের কাছে অভিযোগ জানান, পুলিশকর্তা নাকি তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন। এই শুনেই রেগে যান সাংসদ। জানতে চান, কেন ওই কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তখন পুলিশকর্তা বলেন, অভিযুক্ত গুন্ডাগিরির ঘটনায় জড়িত।

তাঁকে কথা শেষ করতে না দিয়েই অশ্বিনী কুমার চৌবে জানতে চান, ওই পুলিশকর্তা নিজে কী আদৌ গুন্ডার অর্থ বোঝেন। এরপরই পুলিশকর্তাকে রীতিমতো অপমান করেন বিজেপি সাংসদ বলেন, প্রকৃত সমাজ বিরোদীদের চিহ্নিত করে শাস্তি দেওয়ার ক্ষমতা তাঁর নেই। বরং যাঁরা রাজনৈতিকভাবে প্রতিবাদ করছেন সেই সব নিরপরাধ লোকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করতে পারেন। এই পর্যন্ত শুনেই নিজের সপক্ষে যুক্তি দেখানোর চেষ্টা করেন ওই পুলিশকর্তা। তবে তাঁকে সশব্দে থামিয়ে দেন চৌবে সাব। বলেন “শাট আপ, কে আপনাকে বলেছে ওঁকে গুন্ডা বলে ডাকা হোক, কেউ কি এ ব্যাপারে আপনাকে নোটিস দিয়েছে? পরের বার যেন এমন কোনও ঘটনা না ঘটে। এই কৃতকর্মের জন্য আপনার ইউনিফর্ম কেড়ে নেওয়া হতে পারে।” বিজেপি কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করার জন্য প্রকারান্তরে ওই পুলিশকর্তার চাকরি কেড়ে নেওয়ার হুমকিও দেন বিজেপি সাংসদ।

পরে সাংবাদিকরা এই বিষয়ে জানতে চাইলে অশ্বিনী কুমার চৌবে বলেন, “২০০৩ সালে ওই বিজেপি কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। আর ওই পুলিশকর্তা রাজনৈতিকভাবে অনুপ্রাণীত হয়েই এই অভিযোগ লিপিবদ্ধ করেন। ২০০৩ সালে একটি রাজনৈতিক প্রতিবাদ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল। তৎকালীন সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে। বর্তমানের পুলিশ প্রশাসন সেইসব প্রতিবাদকারীদের গুন্ডা বলছে। আমি পুলিশকর্তাদের বলছি এভাবে কাউকে গুন্ডা বলে দেগে দেওয়া যাবে না।”