Rahul Gandhi: মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগে ব্যাঙ্ককে চলে গেলেন রাহুল গান্ধী?
আর মাত্র দিন পনেরো পরেই মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানায় বিধানসভা নির্বাচন। লোকসভা নির্বাচন ২০১৯-এ বড় ধাক্কা খাওয়ার পর কংগ্রেসের কাছে এই দুই রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একেবারে কোণঠাসা কংগ্রেসের কাছে এই দুই রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে ঘুরে দাঁড়ানোর ভাল মঞ্চ ছিল। কারণ দুই রাজ্যের বিজেপি শাসিত সরকারের বিরুদ্ধে প্রচারে ঝড় তোলার সুযোগ ছিল।
নতুন দিল্লি, ৬ অক্টোবর: Rahul Gandhi: আর মাত্র দিন পনেরো পরেই মহারাষ্ট্র ( Maharashtra) ও হরিয়ানা (Haryana)- য় বিধানসভা নির্বাচন (Assembly Elections 2019)। লোকসভা নির্বাচন ২০১৯ (Lok Sabha 2019) -এ বড় ধাক্কা খাওয়ার পর কংগ্রেস (Congress)-এর কাছে এই দুই রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একেবারে কোণঠাসা কংগ্রেসের কাছে এই দুই রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে ঘুরে দাঁড়ানোর ভাল মঞ্চ ছিল। কারণ দুই রাজ্যের বিজেপি শাসিত সরকারের বিরুদ্ধে প্রচারে ঝড় তোলার সুযোগ ছিল। কিন্তু গতকাল রাতে দেশের বেশিরভাগ সংবাদমাধ্যমে দেখানো হয়, রাহুল গান্ধী ব্যাঙ্ককে চলে গিয়েছেন।
খবরটা যদি সত্য়ি হয় তাহলে কংগ্রেসের কাছে খুবই হতাশার। কারণ রাহুলই এখনও কংগ্রেসের প্রচারের মুখ। এই সময় রাহুল দেশ ছাড়লে কংগ্রেসের প্রচারে ভাটা পড়তে বাধ্য়। যদিও এখন কংগ্রেসের দায়িত্ব সোনিয়া গান্ধীর কাঁধে।
গতকাল, শনিবার সকাল ৮.২৫ মিনিটে দিল্লি বিমানবন্দরে Vistara UK 121-র মাধ্যমে রাহুল ব্যাঙ্ককে যান বলে দাবি করেন বিজেপির মুখপাত্র তাজিন্দার পাল সিং বাগ্গা। অনেক সংবাদমাধ্যমে এই খবর দেখানোর পরেও কংগ্রেসের তরফ থেকে এই বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। বিমান সংস্থার পক্ষ থেকেও জানানো হয়নি ওই বিমানে রাহুল গান্ধী সফরে করেছেন কি না। আরও পড়ুন-সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারে জাল অতিথি কার্ড!
২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে ভরাডুবির কংগ্রেসের সভাপতি পদ থেকে রাহুল গান্ধী পদত্যাগ করেন। রাহুলের পদত্যাগপত্র প্রত্যাহারের জন্য কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের অনুরোধ নিয়ে কম নাটক হয়নি। অনেক অনুরোধের পরেও অবশ্য রাহুল পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার করেননি। এতদিকে, রাহুলের পদত্য়াগের পরেও কিছুতেই কংগ্রেস নতুন কাউকে বসাতে পারছিল না। সে পর্যন্ত সেই সোনিয়া গান্ধীকেই অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি হিসাবে ফিরিয়ে আনা হয়।
আগামী ২১ অক্টোবর নির্বাচন হবে মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানায় এক দফায় নির্বাচন হবে। ২৪ অক্টোবর ফলপ্রকাশ। ২০১৪ সালে এই দুই রাজ্যেই ক্ষমতায় ছিল কংগ্রেস। কংগ্রেসকে হারিয়ে মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানায় ক্ষমতায় এসেছিল বিজেপি। সেই হিসাবে কংগ্রেসের ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ ছিল। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদির বড় জয়ের পর এই দুই রাজ্যে কংগ্রেস একেবারে কোণঠাসা হয়ে গিয়েছে। ভোট সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে বিজেপি এই দুই রাজ্য়ে অনেকটা এগিয়ে। মহারাষ্ট্রে ২৮৮টি ও হরিয়ানায় ৯০টি আসনে ভোট হবে।