উগ্র হিংসার কথা বলে অশান্তি ছড়াচ্ছে পাকিস্তান, ফোনালাপে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নালিশ করলেন নরেন্দ্র মোদি

ভারতের বিরুদ্ধে হিংসায় উস্কানি দিচ্ছে আঞ্চলিক দলগুলি। নাম না করেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (US President Donald Trump) সঙ্গে টেলিফোনিক বার্তায় ইমরান খান ও শাহ মাহমুদ কুরেশির বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)।

ডোনাল্ড ট্রাম্প ও নরেন্দ্র মোদি(File Photo)

দিল্লি, ১৯ আগস্টভারতের বিরুদ্ধে হিংসায় উস্কানি দিচ্ছে আঞ্চলিক দলগুলি। নাম না করেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (US President Donald Trump) সঙ্গে টেলিফোনিক বার্তায় ইমরান খান ও শাহ মাহমুদ কুরেশির বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বিলোপের পর এই প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তাঁর বার্তালাপ হল। সোমবার সন্ধ্যায় দুজনে বেশ খানিকটা সময় ফোনে কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর সচিবালায় সূত্রের এক বিবৃতিতে এমনটাই জানা গিয়েছে।

এই বার্তালাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বলেছেন, ভারতের বিরুদ্ধে হিংসায় ঘটনায় উস্কানি দেওয়া হচ্ছে। আঞ্চলিক শান্তি পরিবেশের জন্য যা বিপজ্জনক।কেন্দ্রের ওই বিবৃতিতে এও জানানো হয়েছে, সন্ত্রাসমুক্ত পরিবেশ গড়ে তোলার পক্ষে জোরালো সওয়াল করেছেন প্রধানমন্ত্রী। যাতে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার জন্য সুষ্ঠু পরিবেশ পরিস্থিতি গড়ে তোলা যেতে পারে এবং যাতে দীর্ঘমেয়াদি আঞ্চলিক শান্তি কায়েম করা যায়। কয়েকদিন আগেই কাশ্মীর সমস্যা (Kashmir Issue) নিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয়েছে। সেখানে বৈঠকের পর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে কথা বলেছেন ট্রাম্প। তাতে ভারতের সঙ্গে চলতে থাকা জ্বলন্ত ইস্যুকে আলাপ আলোচনার মধ্যে মিটিয়ে ফেলতে ইমরানকে অনুরোধ করেছেন তিনি। আরও পড়ুন-পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে কেড়ে নিতে প্রস্তুত সেনা, জেনারেল বিপিন রাওয়াত

এই ঘটনার পরেপরেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে টেলিফোনে কথা বললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তাঁদের বার্তালাপে দুই দেশের দিপাক্ষিক বাণিজ্যের উন্নতি নিয়ে কথা হয়েছে। মার্কিন বাণিজ্যিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে ভারতে মার্কিন দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যকে উন্নত করার প্রসঙ্গেও দুজনের কথা হয়েছে। সেখানেই প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলুপ্তির পর বেশকিছু নেতা অতি উগ্র ভাষায় হিংসায় উসকানি দিচ্ছে, এতে শান্তি তো ফিরতে বারে না, বরং অশান্তির আগুন আরও জ্বলে ওঠে।