Goa CM Pramod Sawant: লকডাউনের বাজারে শ্যাম্পু কিনতে বেরিয়ে আইন ভাঙছে মানুষ, বললেন গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত
লকডাউনের বাজারে যাঁরা শ্যাম্পুর মতো তুচ্ছ জিনিস কিনতে আইন ভাঙে তাঁদের উপরে তিনি বিরক্ত। সাংবাদিকদের একথাই বললেন গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত (Pramod Sawant)। এমনিতেই লকডাউনের বাজারে মানুষের মধ্যে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে সাওয়ান্ত সরকারকে কম সমালোচনার মুখে পড়তে হয়নি। মারণ ভাইরাস করোনার কারণে দেশজুড়ে ২১ দিনের লকডাউন চলছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যদ্রব্যের দাম হু হু করে বেড়েছে। পাওয়াও যাচ্ছে না, মনে করে মানুষ রাস্তায় বেরিয়ে পড়ছে। হুমড়ি খেয়ে মুদি দোকানে ভিড় জমিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সমুদ্র ঘেঁষা রাজ্যে কার্ফিউ বলবৎ হয়েছে। মানুষজনকে নিয়ন্ত্রণ করতে রাস্তায় সেনা নামানো হয়েছে।
পানাজি, ৩০ মার্চ: লকডাউনের বাজারে যাঁরা শ্যাম্পুর মতো তুচ্ছ জিনিস কিনতে আইন ভাঙে তাঁদের উপরে তিনি বিরক্ত। সাংবাদিকদের একথাই বললেন গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত (Pramod Sawant)। এমনিতেই লকডাউনের বাজারে মানুষের মধ্যে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে সাওয়ান্ত সরকারকে কম সমালোচনার মুখে পড়তে হয়নি। মারণ ভাইরাস করোনার কারণে দেশজুড়ে ২১ দিনের লকডাউন চলছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যদ্রব্যের দাম হু হু করে বেড়েছে। পাওয়াও যাচ্ছে না, মনে করে মানুষ রাস্তায় বেরিয়ে পড়ছে। হুমড়ি খেয়ে মুদি দোকানে ভিড় জমিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সমুদ্র ঘেঁষা রাজ্যে কার্ফিউ বলবৎ হয়েছে। মানুষজনকে নিয়ন্ত্রণ করতে রাস্তায় সেনা নামানো হয়েছে।
তবে রাজ্যবাসীকে শাস্তি দিতে নয়, রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখতেই সেনা বলবৎ করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত সংবাদ সংস্থা আইএনএসকে বলেছেন, “যাঁর পরিবারে অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রীর দরকার পড়বে, তিনি একা বাড়ি থেকে বেরিয়ে কেনাকাটা সারতে পারেন। তবে এমনটাও দেখছি, লকডাউনের বাজারে শুধু শ্যাম্পু কিনতে বাড়ির বাইরে বেরোচ্ছেন অনেকে। এটা একেবারেই প্রয়োজনীয় নয়। যদি কারও বাড়িতে চাল ফুরিয়ে যায় তাহলে তা কিনতে বেরোতেই পারেন। তবে তাই বলে শ্যাম্পু! আমি এমন ঘটনাই প্রত্যক্ষ করলাম।” লকডাউনের সিদ্ধান্তের সঙ্গে সঙ্গেই অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের দোকান ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে। তা-ও ঠিক হয়ে যায়। আরও পড়ুন-Chembur Couple Loses Over Rs 1 Lakh: লকডাউনে অনলাইনে মদ কেনার চেষ্টা, লক্ষাধিক টাকা খোয়ালেন দম্পতি
সিআইএসএফ বলবৎ রয়েছে গোয়াতে। যাঁরা বিনাকারণে এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন তাঁদের শাস্তি হিসেবে ব্যাঙ দৌড় করানো হয়েছে। এই ভিডিও ভাইরাল হতেই সমালোচনার ঝড় উঠেছে। রাজ্যের বাইরে থেকে সিআইএসএফ-কে বলবৎ করা হয়নি। তবে কেন্দ্র যে সিআইএসএফ-এর গোয়া ইউনিট তৈরি করেছে সেখান থেকেই সেনা এসেছে। বাইক নিয়ে রাস্তায় ঘোরাঘুরি করে বাড়িতে করোনার মত মারাত্মক ভাইরাস বয়ে নিয়ে যাওয়া জরুরি নয়। তবে দুধ বা ওষুধের মতো জরুরি জিনিষ কিনতে বাইরে বেরোতেই পারেন। সেনা কিন্তু মানুষকে শাস্তি দিতে নয়, আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতেই বলবৎ করা হয়েছে।