প্রধানমন্ত্রীর লোকসভা কেন্দ্র বারাণসীতে হামলার ছক কষছে লস্কর-ই-তৈবা, গোয়েন্দা রিপোর্টে সতর্কতা

জঙ্গি লেলিয়ে ভারতকে বিপাকে ফেলতে উঠেপড়ে লেগেছে পাকিস্তান। গোয়েন্দা রিপোর্ট বলছে পাক জঙ্গি গোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈবা (Lashkar-e-Taiba) ভারতে হামলা চালানোর ছক কষছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi) লোকসভা কেন্দ্র বারাণসীতেই (Varanasi) হামলা চালাতে বদ্ধপরিকর লস্কর। সেজন্য গ্রাউন্ডওয়ার্কও শুরু হয়েছে।

বারণসী ঘাট(Photo Credit: Facebook)

দিল্লি, ২৮ আগস্ট: কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা (Article 370) বিলুপ্তির পর থেকেই নয়াদিল্লির উপরে চটে লাল ইসলামাবাদ। যেনতেন প্রকারেণ ভারতকে হেনস্তা করাই এখন পাকিস্তানের লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও সম্পর্ক আগেই নষ্ট হয়েছে, এরপর পরমাণু অস্ত্রের মালিকানা প্রমাণ করতে যুদ্ধের উসকানি দিচ্ছেন ইমরান খান। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে পাকিস্তান পিপলস পার্টির (PPP) প্রধান বিলাওয়াল ভুট্টো (Bilawal Bhutto) আগ্রাসী মনোভাব থেকে পিছু হটেছেন। এমতাবস্থায় জঙ্গি লেলিয়ে ভারতকে বিপাকে ফেলতে উঠেপড়ে লেগেছে পাকিস্তান। গোয়েন্দা রিপোর্ট বলছে পাক জঙ্গি গোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈবা (Lashkar-e-Taiba) ভারতে হামলা চালানোর ছক কষছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi) লোকসভা কেন্দ্র বারাণসীতেই (Varanasi) হামলা চালাতে বদ্ধপরিকর লস্কর। সেজন্য গ্রাউন্ডওয়ার্কও শুরু হয়েছে।

শোনা যাচ্ছে, বারাণসীতে লস্করের ঘাঁটি তৈরিতে ইতিমধ্যেই কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। লস্করের বেস ক্যাম্প বানাতে ও সদস্য তৈরিতে চলছে কাজকর্ম। এরমধ্যে বেশ কয়েকজন লস্করের মাথা এসে বারাণসীতে থেকে গিয়েছে। গত চার মাস ধরে এই জঙ্গি তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। গত মে মাসে বারাণসীতে আসা দুই জঙ্গির নামও প্রকাশ করেছে গোয়েন্দারা। একজনের নাম উমর মদনি (Umar Madni) ও অন্যজন হল নেপাল (Nepal)। এই উমর মদনি আসলে লস্করে জঙ্গি নিয়োগ করে। মে মাসে এসে বেশ কিছুদিন এখানে থেকে লস্করের সদস্য সংখ্যা বাড়িয়ে গিয়েছে উমর। বারাণসীতে এই জঙ্গি গোষ্ঠীর বেস ক্যাম্প হলে স্থানীয় যুব সমাজ থেকেই তার সদস্য নির্বাচন করতে হবে। তারপর চলবে জঙ্গি প্রশিক্ষণ। স্থানীয় যুবকদের নিয়েই হামলার পরিকল্পনা ছকে ফেলেছে লস্কর-ই-তৈবা। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন যুব সংগঠনের সঙ্গে কতা বলে জঙ্গি দল ভারী শুরু করেছে উমর মদনি। আরও পড়ুন-কাশ্মীর নিয়ে নরেন্দ্র মোদির পাশে রাহুল গান্ধী: পাকিস্তানকে তোপ দেগে রাগার সাফ কথা, কাশ্মীর ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়

এদিকে খোদ প্রধানমন্ত্রীর লোকসভা কেন্দ্র লস্করের উপস্থিতির খবর পেয়েই নড়ে চড়ে বসেছে গোয়েন্দা বিভাগ। বারাণসীতে য়ে কোনওরকম জঙ্গি কার্যকলাপ আটকাতে শুরু হয়েছে খানা তল্লাশি। কড়া নজরে রাখা হচ্ছে গোটা এলাকাকে। কোথাও সামান্য অসঙ্গতি নজরে পড়লেই যা প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সময় নেবে না গোয়েন্দা বিভাগ, তা স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। গত ৫ আগস্ট জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ স্টেটাস খর্ব হয়েছে। তারপর থেকেই পাকিস্তানের মুখ ভার। এবার গোটা ভারতের সঙ্গে কাশ্মীরেও উড়ছে তেরঙা জাতীয় পতাকা। এক সংবিধানের আওতায় এখন ভূস্বর্গ। এই বিষয়টি কোনওভাবেই মেনে নিতে পারছে না পাকিস্তান। তাদের লক্ষ্য ছিল জম্মু ও কাশ্মীরকে হাসিল করা উল্টে এখন যা পরিস্থিতি তাতে আজাদ কাশ্মীর(পাক অধিকৃত কাশ্মীর) হাত ছাড়া হল বলে। এমতাবস্থায় ভারতকে বিশ্বসভায় বিব্রত করতে সমস্ত পদক্ষেপ নিয়ে ফেলেছে পাকিস্তান। কাশ্মীরকে ইস্যু করে আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর জাতিপুঞ্জের সাদারণ সভায় বক্তব্য রাখবেন ইমরান খান। এমনটাও শোনা গিয়েছে।

(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)

Share Now

Share Now