P Chidambaram: অর্থনৈতিক মন্দার জেরে জিডিপি নেমেছে ৪.৮ শতাংশে, এবার আইএমএফকে আক্রমণ করতে পারেন কেন্দ্রের মন্ত্রীরা, কটাক্ষ চিদাম্বরমের

কান টানলে যেমন মাথা আসে, তেমনই ভারতের অর্থনৈতিক মন্দা বিশ্ব অর্থনীতিতেও প্রভাব ফেলেছে। নিজের পর্যবেক্ষণে এমনটাই জানিয়েছেন আইএমএফ-এর অর্থনীতিক গীতা গোপীনাথ। এর আগে আইএমএফ জানিয়েছিল ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে ভারতের বৃদ্ধির হার থাকবে ৬.১ শতাংশ। কিন্তু তিন মাসের মধ্যেই পরিস্থিতি বিবেচনা করে তাদের হিসাব পরিবর্তন করেছে আইএমএফ। তাদের বক্তব্য, ভারতের বাজারের যা অবস্থা তাতে টেনেটুনে ৪.৮ শতাংশ হারে জিডিপি বাড়তে পারে। এই খবর শুনেই কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরম (P Chidambaram) বলেছেন, “এই জিডিপি হ্রাসের কারণে সরকারের মন্ত্রীরা আইএমএফ ও গোপীনাথকে আক্রমণ করতে পারেন, এমন সম্ভাবনা রয়েছে।

পি চিদম্বরম(Photo Credit: PTI)

নতুন দিল্লি, ২১ জানুয়ারি: কান টানলে যেমন মাথা আসে, তেমনই ভারতের অর্থনৈতিক মন্দা বিশ্ব অর্থনীতিতেও প্রভাব ফেলেছে। নিজের পর্যবেক্ষণে এমনটাই জানিয়েছেন আইএমএফ-এর অর্থনীতিক গীতা গোপীনাথ। এর আগে আইএমএফ জানিয়েছিল ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে ভারতের বৃদ্ধির হার থাকবে ৬.১ শতাংশ। কিন্তু তিন মাসের মধ্যেই পরিস্থিতি বিবেচনা করে তাদের হিসাব পরিবর্তন করেছে আইএমএফ। তাদের বক্তব্য, ভারতের বাজারের যা অবস্থা তাতে টেনেটুনে ৪.৮ শতাংশ হারে জিডিপি বাড়তে পারে। এই খবর শুনেই কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরম (P Chidambaram) বলেছেন, “এই জিডিপি হ্রাসের কারণে সরকারের মন্ত্রীরা আইএমএফ ও গোপীনাথকে আক্রমণ করতে পারেন, এমন সম্ভাবনা রয়েছে। কেননা গীতা গোপীনাথই প্রথম নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছিলেন। তাই বিজেপি সরকারের মন্ত্রীরা যদি তাঁকে আক্রমণ করেন তাহলে আমাদের প্রস্তুত তো থাকতেই হবে।”

ভারতের অর্থনৈতিক দুরবস্থার প্রসঙ্গ সামনে আসতেই ফের কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে কটাক্ষ করলেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম। তিনি বলেন, “আইএমএফ ভারতের জিডিপির যা হার দেখিয়েছে তাতে আমি মোটেই অবাক হইনি। ৪.৮ শতাংশের থেকে আরও কম হলে অবাক হতাম না।” গীতা গোপীনাথের মতে, ভারতে সব থেকে সঙ্কটে রয়েছে ফিনান্সিয়াল সেক্টর। বিশেষ করে নন ব্যাঙ্কিং ফিনান্স কর্পোরেশনগুলোর হাল খুবই খারাপ। ঋণের বৃদ্ধি হচ্ছে না, অর্থাৎ বাজারের অবস্থা দেখে ঝুঁকি নেওয়ার প্রবণতাও কমছে। আর তার পাশাপাশিই গ্রামীণ এলাকায় আয়ে কোনও বৃদ্ধিই হচ্ছে না। ফলে গ্রামীণ অর্থনীতিতে চাহিদা কমে গিয়েছে। আরও পড়ুন-Davinder Singh: হিজবুল জঙ্গিদের আশ্রয় দিয়ে আগেই বরখাস্ত হয়েছেন, এবার মেডেল খোয়ালেন দাভিন্দর সিং

উল্লেখ্য, ভারতের বাজারের এহেন পরিস্থিতির কারণ মোটামুটি ভাবে পরিষ্কার। বিভিন্ন পণ্যের চাহিদা কমছে। শিল্পপতিরা নতুন বিনিয়োগ করার সাহস পাচ্ছেন না। ঋণ পাওয়া নিয়ে সমস্যা রয়েছে। সেই সঙ্গে টাকার দাম ওঠাপড়া করছে ঘন ঘন। আর সর্বোপরি বাড়ছে মুদ্রাস্ফীতি। আইএমএফের মতে এসব মিলিয়ে উন্নয়নশীল দেশগুলির নিরিখেও পিছিয়ে পড়ছে ভারত। মোট জাতীয় উৎপাদন বা জিডিপি-র বিকাশের হার এজন্যই কমে যাচ্ছে। বস্তুত গত সাত বছরে জিডিপি বৃদ্ধির হার কখনও এত কমেনি।

(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)

Share Now

Share Now