Opposition leader on Hindenburg Research: সেবি কেন সক্রিয়ভাবে তদন্ত করছে না, হিন্ডেনবার্গের নয়া রিপোর্ট নিয়ে সমালোচনায় বিরোধীরা

হিন্ডেনবার্গের নয়া রিপোর্ট নিয়ে আরও সমস্যায় পড় আদানি গ্রুপ। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও বারবার সেবি কেন এই নিয়ে সক্রিয়ভাবে তদন্ত করছে না, এই প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা।

Photo Credits: Wikimedia Commons and PTI

হিন্ডেনবার্গের (Hindenburg Research) নয়া রিপোর্ট নিয়ে আরও সমস্যায় পড় আদানি গ্রুপ। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও বারবার সেবি (SEBI) কেন এই নিয়ে সক্রিয়ভাবে তদন্ত করছে না, এই প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা। হিন্ডেনবার্গের সাম্প্রতিক রিপোর্টে দেখা গিয়েছে সেবির চেয়ারম্যান মাধবী পুরী বুচের স্বামী ধবল বুচ  মরিশাস এবং বারমুডার দুই অফসোর ফাণ্ডে বিনিয়োগ করেছিলেন। তাৎপর্যপূর্ণভাবে ওই ফাণ্ডে বিনিয়োগ করেছিলেন গৌতম আদানির বড়ভাই বিনোদ আদানি, তাঁর সহায়ক চ্যাং চুং লিং ও নাসের আলি শাহবান। আর এই ফাণ্ডের মাধ্যমেই বিপুল পরিমাণের আর্থিক তছরুপ করেছিল আদানি গ্রুপ। এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই ফের বিরোধীরা কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আক্রমণ শুরু করেছে।

কংগ্রেস নেত্রী সুপ্রিয়া শ্রীনাথের (Supriya Shrinate) দাবি, "রিপোর্ট দেখার পর একটা প্রশ্ন সকলের মনে উঠছে যে সেবির যে বা যাঁদের  আদানি দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়ছিল, তাঁরাও কী এই দুর্নীতিতে জড়িত? সুপ্রিম কোর্ট একাধিকবার এই নিয়ে রিপোর্ট চেয়েছে আর সেবি বারবার এই বিষয়ে টালবাহানা দেখিয়েছে। সেবির পক্ষ থেকে এও বলা হচ্ছিল যে তাঁদের হাতে নাকি কোনও তথ্যই নেই। এর মাধ্যমে স্বচ্ছতাকে ধ্বংস করা হয়েছে। সম্ভবত এটাই সবথেকে বড় অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র। রিপোর্ট অনুযায়ী এই দুর্নীতির মাধ্যমে সেবি প্রধান, কেন্দ্র সরকার ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সততা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে"।

অন্যদিকে শিবসেনার (উদ্ধব শিবির) সাংসদ প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী (Priyanka Chaturvedi) বলছেন, "সুপ্রিম কোর্ট সেবির রিপোর্টে সন্তুষ্ট নয়। আর সেটার কারণ হিন্ডেনবার্গের সাম্প্রতিক রিপোর্টেই স্পষ্ট হয়েছে। কারণ সেবির চেয়ারপারসনও এই মামলায় জড়িত রয়েছে। ফলে আমাদের দাবি এই দুর্নীতির তদন্ত অবাধ ও পক্ষপাততুষ্ঠ ভাবে যেন হয়"।