পিপাশায় কাতর চেন্নাই, ৫০ ওয়াগানে ২৫ লক্ষ লিটার জল নিয়ে আসছে বিশেষ ট্রেন

জলশূন্য চেন্নাই, তৃষ্ণার্ত চেন্নাইকে জল পান করাতে ২৫ লক্ষ লিটার জল নিয়ে ৫০ ওয়াগানের বিশেষ ট্রেন রওনা হয়েছে। শুক্রবার সকালে ভেলোরের জোলারপেট স্টেশন থেকে জল ভরে ট্রেনটি রওনা দিয়ে বিকেলেই পৌঁছে যাবে চেন্নাই।

জল নিয়ে ট্রেন যাচ্ছে চেন্নাই( Photo Credit: Twitter)

চেন্নাই, ১২ জুলাই:  জলশূন্য চেন্নাই (Chennai), তৃষ্ণার্ত চেন্নাইকে জল পান করাতে ২৫ লক্ষ লিটার জল নিয়ে ৫০ ওয়াগানের(50 tank wagons)বিশেষ ট্রেন রওনা হয়েছে। শুক্রবার সকালে  ভেলোরের জোলারপেট স্টেশন থেকে জল ভরে ট্রেনটি রওনা দিয়ে বিকেলেই পৌঁছে যাবে চেন্নাই। তবে আরও একটি ট্রেন জল ভরে অপেক্ষা করছে, প্রথমটি জল দিয়ে ফিরে আসার পরই দ্বিতীয়টি রওনা হয়ে যাবে চেন্নাইয়ের উদ্দেশে। সাদার্ন রেল সূত্রে খবর, জল ভর্তি এই ট্রেন পৌঁছবে ভিল্লিভাক্কাম (Villivakkam) স্টেশনে। সেখান থেকে জল পাম্প করা হবে কিলপক ওয়াটার ওয়ার্কস পাম্পিং সেখান থেকে জল পৌঁছাবে গোটা শহরে। আরও পড়ুন-খোলা ম্যানহোলে পড়ে নিখোঁজ একরত্তি, মুম্বইয়ে চাঞ্চল্য

প্রায় জলশূন্য চেন্নাই। ভূগর্ভস্থ জলস্তরের ক্রমাগত নেমে যাওয়া এবং বৃষ্টির জল পুনর্ব্যবহারে ব্যর্থতা, সব মিলিয়েই দেশের ‘ওয়াটার স্ট্রেসড সিটি’-র তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে চেন্নাই। শুকিয়ে গিয়েছে শহরের জলাধারগুলি। পানীয় জলের জন্য এলাকার কুয়োই এখন ভরসা চেন্নাইবাসীর। বহুজাতিক সংস্থা থেকে হোটেল-রেস্তোরাঁ সর্বত্রই জল-খরচে রাশ টানার মরিয়া চেষ্টা চলছে। চেন্নাই মেট্রো ওয়াটার তার রিপোর্টে জানিয়েছে, জলসঙ্কট মেটাতে প্রতি দিন প্রায় ১ কোটি লিটার জল আমদানি করা প্রয়োজন। নিজেদের চাহিদা মেটানোর পরেও চেন্নাইকে জল দেওয়ার কথা ভেবেছে কলকাতা। ইতিমধ্যেই কেরল থেকে চেন্নাইতে নিয়মিত জলের ট্রেন চলাচল করার ব্যবস্থা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী ইকে পালানিস্বামী।

মূলত উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে অক্টোবরে চেন্নাইয়ে বৃষ্টি হয়। আবহাওয়া দপ্তর সূত্রের খবর, গত বছরের শেষ তিন মাসে দক্ষিণের এই শহরে অত্যন্ত কম বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টিপাতের ঘাটতি ৮০ শতাংশের কাছাকাছি। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, যে প্রধান চারটি জলাধার থেকে চেন্নাইয়ে জল সরবরাহ হয়,  সেগুলিতে গত বছরের তুলনায় এখন একশো ভাগের এক ভাগ জল রয়েছে। জনসংখ্যার নিরিখে চেন্নাইতে প্রতিদিন প্রায় ৮৩ কোটি লিটার জলের প্রয়োজন হয়। এই ট্রেন চলাচলে সেই বিপুল ঘাটতি না মিটলেও, অন্তত ৫৩ কোটি লিটারের কাছাকাছি জল সঞ্চয় করা সম্ভব হবে।