Delhi Excise policy case: পাঁচ মাস জেলবন্দি থাকার পর অবশেষে জামিন পেলেন বিআরএস নেত্রী কে কবিতা
দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলা অবশেষে জামিন মঞ্জুর হল বিআরএস নেত্রী কে কবিতার। দীর্ঘ পাঁচমাস ধরে জেলবন্দি ছিলেন তিনি।
দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলা অবশেষে জামিন মঞ্জুর হল বিআরএস নেত্রী কে কবিতার (K Kavitha)। দিল্লির রউস অ্যাভিনিউ আদালতে তাঁর স্বামী তথা বিআরএস সাংসদ রবি চন্দ্র জামানত বন্ড দিয়ে রিলিজ ওয়ারেন্ট নেন। দীর্ঘ পাঁচমাস ধরে জেলবন্দি ছিলেন তিনি। দিল্লির উপ মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার পর এই মামলায় কেসিআর কন্যার গ্রেফতারি নিয়ে বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল দেশে। তবে সময় যত এগোতে থাকছে ততই এই মামলার রাশ সিবিআইয়ের হাত থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সেরকম কোনও বড়সড় প্রমাণই জোগাড় করতে পারছে না সিবিআই। যার ফলে চলতি মাসের প্রথমদিকে আপ নেতা সিসোদিয়াকে ছাড়া হয় এবং মঙ্গলবার জামিনে ছাড়া পেলেন বিআরএসের প্রাক্তন সাংসদ। বর্তমানে জেলবন্দি রয়েছেন শুধুমাত্র দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
মঙ্গলবার কবিতার জামিনের আবেদন মামলা ছিল সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিআর গভাই এবং কেভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চে। জামিনের বিরোধীতায় সিবিআইয়ের আইনজীবী এসভি রাজু বলেন, কে কবিতা তথ্যপ্রমাণ লোপাট করতে পারে। এর আগে তিনি নাকি নিজের মোবাইল ফোন ফরম্যাট করে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ তোলেন। যদিও কবিতার আইনজীবী এই অভিযোগককে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন। এই মামলার রায় দিতে গিয়ে বিচারপতির পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, এই মামলার বিচার শীঘ্রই হবে না, এমনকী তথ্য প্রমাণের অভাবে মামলাটি বন্ধও হয়ে যেতে পারে। কবিতার বিরুদ্ধে সেরকম কোনও তথ্য প্রমাণ নেই, যার জন্য তাঁকে জেলবন্দি হয়ে থাকতে হবে। এমনকী তিনি এখন সাংসদও নন যে তিনি অন্য কোথায় পালাতে পারবেন।
এর আগে সিসোদিয়ার সময়েও তথ্য প্রমাণের অভাব ছিল। সেই সময় কার্যত বিচারপতিদের ভর্ৎসনা শুনতে হয়েছিল সিবিআইকে। গত ১৫ মার্চ কে কবিতাকে হায়দরাবাদের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে ইডি। পরে এই মামলার তদন্তের দায়িত্ব নেন সিবিআই। তখন তাঁকে সিবিআই গ্রেফতার করে। এদিন ইডি, সিবিআইয়ের দুটি কেস থেকেই জামিনে ছাড়া পান বিআরএস নেত্রী।