Teenage Girl Commits Suicide: প্রথমবার পিরিয়ডের রক্ত দেখে বড়সড় কোনও রোগ ভেবে আত্মহত্যা কিশোরীর
পিরিয়ডের কারণে মৃত্যুর ঘটনা এটিই প্রথম নয়, এর আগেও ২০১৯ সালে একই কারণে দিল্লির এক কিশোরী আত্মহত্যা করে।
মুম্বই: শরীর থেকে রক্ত বেরিয়ে আসছে, পেটে অসহ্য যন্ত্রণা। এমন কেন হচ্ছে! এটা কি কোনও বড় ধরণের রোগ? কীভাবে শরীরে এই রোগ হলো? এই রোগের নামই বা কি? এই রোগ কী পরিবারের লোকের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়বে? ১৪ বছর বয়সী কিশোরীটি বোধহয় এইসব ভাবতে ভাবতেই আত্মহত্যার (Suicide) পথ বেঁছে নিল।
গত মঙ্গলবার রাতে কিশোরীটি প্রথমবার পিরিয়ড (Period) হয়। কিশোরী মুম্বইয়ের মালওয়ানি এলাকার বাসিন্দা, সেদিন তাঁর বাড়িতে কেউ ছিলনা এবং পিরিয়ড বা মাসিক সম্পর্কে তাঁর কোনও ধারণাও ছিল না। ফলে বেদনাদায়ক ও অদ্ভুত অভিজ্ঞতার মধ্যে সে পিরিয়ডকে রোগ ভেবে নিয়ে আত্মহত্যার পথ বেঁছে নেয় বলে পুলিশ সূত্রে খবর। প্রতিবেশীরা বিষয়টি জানতে পেরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পিরিয়ডের ব্যথার কারণে এটিই প্রথম আত্মহত্যার ঘটনা নয়। এর আগেও ২০১৯ সালের ১৬ মে দিল্লির বুরারি এলাকার ১২ বছরের এক কিশোরীও একই কারণে আত্মহত্যা করেছিল।
প্রত্যেক নারীর জীবনে পিরিয়ড স্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয় একটি প্রক্রিয়া। একজন নারীর প্রতি মাসের নির্দিষ্ট সময়ে পিরিয়ড হওয়ার অর্থ তিনি সন্তান ধারণে সক্ষম। বর্তমান সময়ে দাড়িয়েও পিরিয়ড বা মাসিক বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে সংকোচ ও জড়তা রয়েছে। পিরিয়ড নিয়ে আজও খোলাখুলি কথা বলা হয়না। পুরুষদের সামনে পিরিয়ড নিয়ে কথা বলা তো নৈব নৈব চ। অসংখ্য পুরুষ জানেনই না মেয়েদের পিরিয়ড চলাকালীন তাঁদের মানসিক ও শারীরিক অবস্থা কেমন থাকে!
ভবিষ্যৎ যাতে এভাবে আর কোনও কিশোরীর প্রাণ না যায় তার জন্য সমাজে পিরিয়ড নিয়ে খোলামেলা কথা বলাটা খুবই জরুরি।