Lockdown Diary: লকডাউনের গেরো, আহত বাবাকে সাইকেলে চড়িয়ে গুরুগ্রাম থেকে বিহারে ফিরল কিশোরী

লকডাউনের মধ্যে আহত বাবাকে সাইকেলে চাপিয়ে ১২০০ কিলোমিটার রাস্তা পাড়ি দিল বছর ১৫-র কিশোরী। একেবারে গুরুগ্রাম থেকে বিহার। সংবাদ মাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের রিপোর্ট অনুসারে, বাবা-মেয়ে গত ১০ মে দিল্লিতে পৌঁছে প্রথমে সাইকেল কেনেন। তারপর সেদিনই যাত্রা শুরু করেন তাঁরা। ১৯ মে অর্থাং ৯ দিনের মাথায় গত মঙ্গলবার বিহারে পৌঁছান। ঠিক তার একদিন আগেই দেশজুড়ে চতুর্থ দফার লকডাউন শুরু হয়েছে। ওই কিশোরী সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। সে সাইকেলে সবথেকে বেশি রাস্তা পাড়ি দিয়েছে ৬ দিনে। তবে ফেরার পথে রাস্তার ধারের গ্রামগুলির বাসিন্দারা বাবা-মেয়েকে নানাভাবে সাহায্য করেছেন।

আহত বাবাকে নিয়ে সাইকেল গুরুগ্রাম থেকে বিহারে ফিরল কিশোরী(Photo Credits: Video)

গুরুগ্রাম, ২০ মে: লকডাউনের মধ্যে আহত বাবাকে সাইকেলে চাপিয়ে ১২০০ কিলোমিটার রাস্তা পাড়ি দিল বছর ১৫-র কিশোরী। একেবারে গুরুগ্রাম থেকে বিহার। সংবাদ মাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের রিপোর্ট অনুসারে, বাবা-মেয়ে গত ১০ মে দিল্লিতে পৌঁছে প্রথমে সাইকেল কেনেন। তারপর সেদিনই যাত্রা শুরু করেন তাঁরা। ১৯ মে অর্থাং ৯ দিনের মাথায় গত মঙ্গলবার বিহারে পৌঁছান। ঠিক তার একদিন আগেই দেশজুড়ে চতুর্থ দফার লকডাউন শুরু হয়েছে। ওই কিশোরী সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। সে সাইকেলে সবথেকে বেশি রাস্তা পাড়ি দিয়েছে ৬ দিনে। তবে ফেরার পথে রাস্তার ধারের গ্রামগুলির বাসিন্দারা বাবা-মেয়েকে নানাভাবে সাহায্য করেছেন।

রাস্তায় যেতে গিয়ে যেসব গ্রাম পড়েছে সেখানেই জুটেছে খাবার, রাতের আশ্রয়। বিহারে পৌঁছানোর পর বাবা-মেয়ের স্ক্রিনিং হয়েছে। দুজনই আপাতত শিরহুল্লি এলাকার সরকারি স্কুলে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। গত এপ্রিল মাস থেকেই বাড়ি ফেরার জন্য কয়েক হাজার পরিযায়ী শ্রমিক হাজার কিলোমিটার হেঁটেছেন। করোনাভাইরাসের জেরে কাজ গিয়েছে। হাতে টাকাকড়িও নেই। লকডাউনের জেরে এই পরিস্থিতিতে বাড়ি ফেরার একমাত্র উপায় পায়ে হাঁটা। যাঁদের কাছে কিছু টাকা রয়েছে তাঁরাই সাইকেল কিনে বাড়ির উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছেন। আরও পড়ুন-Coronavirus Cases In India: গত ২৪ ঘণ্টায় মারণ ভাইরাসের কবলে ৫ হাজার ৬১১ জন, দেশে মোট করোনা আক্রান্ত ১ লক্ষ ৬ হাজার ৭৫০

সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের ললিতপুর জেলায় গাছের তলায় সন্তান প্রসব করেছেন এক পরিযায়ী শ্রমিক। তার আগে ওই প্রসূতি মধ্যপ্রদেশ থেকে ৫০০ কিলোমিটার পথ হেঁটে এসেছেন। সেখানকার ধর এলাকা থেকে অন্যদের সঙ্গে নিজেও হেঁটেছেন তিনি। প্রায় ৫২০ কিলোমিটার পথ হাঁটার পর তাঁর প্রসব যন্ত্রণা শুরু হয় স্থানীয় বালাভিহাত গ্রামের কাছে। যখন হাঁটতে শুরু করেছিলেন তখন সাড়ে আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন তিনি।