Murder Via Snake Bite: বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক গোপন রাখতে বিষধর সাপের সহযোগিতায় খুন, কী বলল সুপ্রিম কোর্ট?

বিষাক্ত সাপকে কাজে লাগিয়ে খুন (Murder Via Snake Bite) করা একটা নতুন ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে আজকালকার দিনে৷ এমনই এক অভিযুক্তের জামিন খারিজ করল দেশের শীর্ষ আদালত৷

Cobra snake (Photo Credits: Pixabay)

নতুন দিল্লি, ৭ অক্টোবর: বিষাক্ত সাপকে কাজে লাগিয়ে খুন (Murder Via Snake Bite) করা একটা নতুন ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে আজকালকার দিনে৷ এমনই এক অভিযুক্তের জামিন খারিজ করল দেশের শীর্ষ আদালত৷ অভিযুক্তের নাম কৃষ্ণ কুমার৷ মণীশের প্রেমিকার শাশুড়িকে খুনের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে৷ অভিযোগ, মণীশের সঙ্গেই বিষধর সাপ কিনতে যায় কৃষ্ণ কুমার৷ ওই সাপের কামড়ে প্রেমিকার শাশুড়িকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা ছিল দু’জনের৷ সাপের কামড়ে প্রবীণার মৃত্যুও হয়েছে৷ এই কৃষ্ণ কুমারের জামিনের আবেদন খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)৷ এই প্রসঙ্গে বিচারপতি সূর্যকান্ত বলেন, “বিষধর সাপকে কাজে লাগিয়ে খুন করানো এখন ট্রেন্ড৷ রাজস্থানে এই ঘটনা আকছার ঘটছে৷”  আরও পড়ুন- Navratri 2021 Wishes: নবরাত্রির সূচনায় দেশবাসীকে শুভেচ্ছা নমো, নাড্ডার; দেখুন টুইট

এদিন বিচারপতি সূর্যকান্ত, প্রধান বিচারপতি এনভি রামনা ও বিচারপতি হিমা কোহলির ডিভিশনবেঞ্চ কৃষ্ণ কুমারের জামিনের আবেদন শোনেন৷ এদিন শুনানিতে বেঞ্চ জানায়, অভিযুক্ত খুনের স্পৃহা নিয়েই সাপ ছেড়েছিল, তাই তার জামিন হচ্ছে না৷ টাইমস অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্ট অনুসারে, বেঞ্চ অভিযুক্তের উদ্দেশে জানিয়ছে, তুমি অভিনব উপায়ের সহাতায় ভয়ঙ্কর অপরাধ করেছ৷ এই পর্যায়ে তাই তুমি জামিন পেতে পারো না৷ ২০১৯-এ রাজস্থানের ঝুনঝুনু জেলায় খুনের ঘটনাটি ঘটে৷ প্রেমিকা কল্পনার শাশুড়িকে খুনের জন্যই মণীশ এই ভয়ঙ্কর পরিকল্পনা করে৷ কল্পনার স্বামী শচিন একজন সেনা জওয়ান৷

মণীশের সঙ্গে আল্পনার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক জেনে গিয়েছিলেন শাশুড়ি সুবোধ দেবী৷ বুঝতে পেরে, যুগলে তাঁকে খুনের পরিকল্পনা করে৷ সাপ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে বন্দু কুমারকে সঙ্গে নিয়ে ১০ হাজার টাকা বিষধর সাপও কিনে আনে মণীশ৷ ২০১৯-এর ২ জুন সুবোধ দেবীকে সাপের কামড়ায়৷ সপ্তাহখানেক পর সুবোঝ দেবীর মৃত্যু হলে গোটা পরিবারের সন্দেহ গিয়ে পড়ে আল্পনার উপরে৷ স্বাভাবিক ভাবেই থানায় অভিযোগ দায়ের হয়৷ তদন্তে নেমে পুলিশ দেখতে পায় ঘটনার দিন মণীশ ও আল্পনার দুজন ফোনে ১২৪ বার কতা বলেছে৷ এবং কুমারের সঙ্গে সেদিন আল্পনা ১৯ বার কথা বলেছে৷ ২০২০-র ৪ জানুয়ারি এই তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ৷   সেই থেকে তিনজনেই গারদে রয়েছে৷