Suchana Seth: তদন্তে সহযোগিতা নেই সূচনার, আইনজীবীকে নিয়ে গোয়ার থানায় স্বামী বেঙ্কট রমন

ছেলের ব্যাগবন্দি দেহ ট্যাক্সি করে গোয়া থেকে বেঙ্গালুরু নিয়ে যাওয়ার পথে পুলিশ গ্রেফতার করে সূচনাকে। ময়নাতদন্তের পর ছেলের দেহ তুলে দেওয়া হয় সূচনার স্বামী বেঙ্কট রমনের হাতে। আজ শনিবার গোয়ার কালাঙ্গুট থানায় পৌঁছন বেঙ্কট। সঙ্গে ছিলেন তাঁর আইনজীবী।

Suchana Seth Husband Venkat Raman arrives at Goa Police Station (Photo Credits: ANI, X)

পানাজি, ১৩ জানুয়ারিঃ নিজের চার বছরের সন্তানকে খুনের অভিযোগে আপাতত পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন বেঙ্গালুরুর স্টার্টআপ সংস্থার সিইও সূচনা শেঠ (Suchana Seth)। গোয়ার (Goa) হোটেলে নিয়ে এসে ছেলেকে শ্বাসরোধ করে খুন করার অভিযোগ উঠেছে মায়ের বিরুদ্ধে। খুনের পর নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেন সূচনা। পরে মন বদলান। গ্রেফতারির পর তাঁর বাঁ হাতের কবজিতে কাপড় জড়িয়ে রাখতে দেখা গিয়েছে। ছেলের ব্যাগবন্দি দেহ ট্যাক্সি করে গোয়া থেকে বেঙ্গালুরু নিয়ে যাওয়ার পথে পুলিশ গ্রেফতার করে সূচনাকে। ময়নাতদন্তের পর ছেলের দেহ তুলে দেওয়া হয় সূচনার স্বামী বেঙ্কট রমনের হাতে (Suchana Seth Husband Venkat Raman)। বাবার হাতের চার বছরের ছেলের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। আজ শনিবার গোয়ার কালাঙ্গুট থানায় পৌঁছন বেঙ্কট। সঙ্গে ছিলেন তাঁর আইনজীবী।

গোয়ার হোটেলের ঘরে অপরাধের দৃশ্য পুরনায় তৈরি করতে গতকাল শুক্রবার সূচনাকে ঘটনাস্থলে নিয়ে যায় পুলিশ। সেই ঘর থেকেই মিলেছিল ফাঁকা কাশির সিরাপ, রক্তমাখা কাপড়। সেই রক্ত সূচনার বলেই মনে করছে পুলিশ। ছেলেকে কাশির সিরাপ খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে তারপর বালিশ বাঁ কাপড় জাতীয় কিছু দিয়ে শ্বাসরোধ করেছেন তিনি। ছেলের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে কোন জোরজবরদস্তির চিহ্ন মেলেনি।

গোয়া থানায় সূচনার স্বামী... 

পেশার সূত্রে বর্তমানে জাকার্তায় থাকেন সূচনার স্বামী বেঙ্কট। ২০১০ সালে কেরল (Kerala) নিবাসী বেঙ্কট রমনের সঙ্গে বিবাহ হয় সূচনার। ২০১৯ সালে তাঁদের একটি পুত্রসন্তান হয়। কিন্তু এর এক বছরের মধ্যেই পরিস্থিতি বদলে যায়। ২০২০ সালের বিচ্ছেদের দাবি নিয়ে আদালতের দারস্ত হন সূচনা এবং বেঙ্কট। ছেলের দায়িত্ব মাকেই দিয়েছিল আদালত। তবে রবিবার করে বাবা-ছেলের দেখা করার অনুমতিও দেয় আদালত। যা একেবারেই পছন্দ ছিল না সূচনার। আর সেই ক্ষোভেই সূচনা ছেলেকে খুন করেছেন বলে অনুমান পুলিশের। যদিও পুলিশের দাবি, তদন্তে একেবারেই সহযোগিতা করছেন না তিনি।