5th September Holiday In West Bengal: ৫ সেপ্টেম্বর ঈদ-মিলাদ-উন-নবী উদযাপনে ছুটি থাকবে স্কুল ও সরকারি প্রতিষ্ঠান

বিশ্বব্যাপী বহু মানুষের জীবনে শান্তি ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার পথ দেখিয়েছেন হযরত মুহাম্মদ (সা.) ।

Eid Milad Un Nabi (File image)

Eid Milad Un Nabi 2025: ঈদ-মিলাদ-উন-নবী (Eid Milad Un Nabi 2025) হল ইসলাম ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষে পালিত একটি বিশেষ উৎসব। এটি মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। এই দিনটি সাধারণত ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান, মিলাদ-মাহফিল এবং নবীর জীবন ও শিক্ষা নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে উদযাপিত হয়। পশ্চিমবঙ্গে ঈদ -মিলাদ-উন-নবী বা নবী দিবস উপলক্ষে স্কুল ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে ৫ সেপ্টেম্বর (5th September), শুক্রবার। নবীর জন্মদিনটি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের গেজেটেড ছুটি। যদিও দিনটি চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে নির্ধারিত হয়। তবে, সরকারি ঘোষণা অনুসারে এটি ৫ তারিখ নিশ্চিত করা হয়েছে। এটি গেজেটেড ছুটি হওয়ায় এদিন স্কুল, কলেজ, সরকারি অফিস এবং ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকবে।

পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন শহর ও গ্রামে, বিশেষ করে কলকাতা, মুর্শিদাবাদ, হাওড়া, হুগলি, মালদা, এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার মতো মুসলিম-অধ্যুষিত এলাকায় ঈদ-মিলাদ-উন-নবী মহা আড়ম্বরে পালিত হয়। এই দিনে অনেকে দান-খয়রাত করেন, যেমন গরিবদের মধ্যে খাবার, কাপড় বা টাকা বিতরণ করা হয় এবং অনেক স্থানে মিছিল ও রাতভোর জলসার আয়োজন করা হয়।

পশ্চিমবঙ্গ সরকার ঈদ -মিলাদ-উন-নবীকে গেজেটেড ছুটি হিসেবে ঘোষণা করে, মুসলিম সম্প্রদায়কে এই দিনটি পালনের জন্য পর্যাপ্ত সময় দেওয়া হয়। এদিন মিছিল বা বড় সমাবেশের সময় পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেয়, বিশেষ করে কলকাতা বা মুর্শিদাবাদের মতো জায়গায়। আরও পড়ুন: Eid Milad Un Nabi 2025: মিলাদ উন নবী দিবসের তারিখ, ইতিহাস ও তাৎপর্য জেনে নিন

ঈদ -মিলাদ-উন-নবীর তারিখ চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে। পশ্চিমবঙ্গে স্থানীয় মসজিদ বা ধর্মীয় সংগঠন চাঁদ দেখার ঘোষণা করে, তার উপর ভিত্তি করে উদযাপনের দিন নির্ধারিত হয়। চলতি বছর সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী এটি ৫ সেপ্টেম্বর পড়বে, তবে চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে উৎসবের দিনটি একদিন এগিয়ে বা পিছিয়ে যেতে পারে।

হযরত মুহাম্মদ (সা.) তাঁর জীবন ও শিক্ষার মাধ্যমে সততা, ন্যায়, ক্ষমা, দয়া এবং ভ্রাতৃত্ববোধের মতো নৈতিক মূল্যবোধ প্রচার করেন। তাঁর হাদিস (বাণী ও কাজ) ইসলামের দ্বিতীয় প্রধান উৎস হিসেবে কাজ করে। তিনি নারীদের সম্মান, শিক্ষা ও সম্পত্তির অধিকার প্রতিষ্ঠা করেন, যা তৎকালীন আরব সমাজে একপ্রকার বিপ্লব ছিল। তিনি জাতি, বর্ণ বা সম্পদের ভিত্তিতে বৈষম্য দূর করে সকল মানুষের সমতার শিক্ষা দেন। তাঁর সততা, ধৈর্য, দয়া, এবং নম্রতা তাঁকে সকলের কাছে প্রিয় করে তোলে।

হযরত মুহাম্মদ (সা.) ইসলাম ধর্মের প্রতিষ্ঠায় শুধু একজন ধর্মীয় নেতাই নন, তিনি ছিলেন একজন সমাজ সংস্কারক, রাষ্ট্রনায়ক এবং নৈতিক আদর্শের প্রতীক। তাঁর শিক্ষা ও জীবনাচরণ ইসলামের মূল ভিত্তি গঠন করেছে এবং বিশ্বব্যাপী বহু মানুষের জীবনে শান্তি ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার পথ দেখিয়েছে।

(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)

Share Now
Advertisement


Advertisement
Advertisement
Share Now
Advertisement