ব্যর্থতায় মুহ্যমান ইসরোর চেয়াম্যান, জড়িয়ে ধরে সাহস জোগালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কী বললেন তিনি?
সব জল্পনায় জল ঢেলে, দীর্ঘ নিরলস প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করে ল্যান্ডার বিক্রম ফিরে এল না ইসরোর কন্ট্রোলরুমের সিগন্যালে। কোনও সাড়া নেই আরও ১৫ মিনিট কাটল অপেক্ষায়। তারপর বোঝাই গেল আর সাড়া মিলবে না। বিজ্ঞানীদের সমস্ত প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করে বিক্রম ল্যান্ডার মহাকাশে হারিয়ে গিয়েছে। ততক্ষণে শোকে মুহ্যমান ইসরোর বিজ্ঞানীরা। হতাশায় ডুবে গেলেও ফের ফিনিক্সের মতো জেগে উঠলেন নমো।
বেঙ্গালুরু, ৭ সেপ্টেম্বর: ফের চাঁদের বুকে সাফল্য পেল না ইসরোর গবেষণা চন্দ্রযান-২। ল্যান্ডার বিক্রম চাঁদে নামার আগেই হারিয়ে গেল। শেষ ১৫টা মিনিট দম আটকে প্রহর গুলছিল গোটা ইসরো। বিজ্ঞানীরা গভীর প্রতীক্ষায় বসেছিলেন। পাশে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। আর গবেষণা কেন্দ্রে উপস্থিত না থেকেও গোটা দেশ ছিল অপেক্ষায়। সব জল্পনায় জল ঢেলে, দীর্ঘ নিরলস প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করে ল্যান্ডার বিক্রম ফিরে এল না ইসরোর কন্ট্রোলরুমের সিগন্যালে। কোনও সাড়া নেই আরও ১৫ মিনিট কাটল অপেক্ষায়। তারপর বোঝাই গেল আর সাড়া মিলবে না। বিজ্ঞানীদের সমস্ত প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করে বিক্রম ল্যান্ডার মহাকাশে হারিয়ে গিয়েছে। ততক্ষণে শোকে মুহ্যমান ইসরোর বিজ্ঞানীরা। হতাশায় ডুবে গেলেও ফের ফিনিক্সের মতো জেগে উঠলেন নমো।
ততক্ষণে চোখের জল আটকাতে ব্যর্থ হয়েছেন ইসরোর চেয়ারম্যান কে শিভান (ISRO Chief K Sivan)। প্রধানমন্ত্রী তখন গবেষণা কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে আসছেন। সবাইকে তাঁদের কাজের জন্য অকুন্ঠ অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু তাঁর বেরিয়ে যাওয়ার মুহূর্তে আর নিজেকে ধরে রাখতে পারলেন না কে শিভান। কান্নায় ভেঙে পড়লেন। প্রধানমন্ত্রীর পরিস্থিতি বুঝে উঠতে সময় নেননি। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ইসরোর চেয়ারম্যানকে জড়িয়ে ধরেন। বেশ খানিকটা সময় তাঁকে ধরে থাকেন। তারপর চেয়ারম্যানের কাঁধে হাত দিয়ে বললেন, ‘বি কারেজিয়াস। (সাহসী হোন)।’সেখানেই না থেমে ইসরোর বিজ্ঞানীদের উদ্দেশে বললেন, জীবনে ওঠা পড়া লেগেই থাকে। যে সাফল্য আপনারা অর্জন করেছেন, তা কম নয়। গোটা দেশ আপনাদের জন্য গর্বিত। আপনারা আবারও দেশকে গর্বিত করবেন, আমি নিশ্চিত।” আরও পড়ুন-‘সাফল্য থেকে কেউ ভারতকে সরিয়ে রাখতে পারবে না’, চন্দ্রযান-২ এর ব্যর্থতা নিয়ে মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি
প্রধানমন্ত্রী (Chandrayaan-2 shortfall) আরও বলেন, এখনও পর্যন্ত সিগনাল পাওয়া যাচ্ছে না ঠিকই, কিন্তু আমরা আশায় থাকব। শুধু তা-ই নয়। উপস্থিত স্কুল পড়ুয়াদের সঙ্গে কথাও বলেন নরেন্দ্র মোদি। টিপস দেন, কী ভাবে লক্ষ্য পূরণ হবে তাঁদের। এক ছাত্র তাঁকে প্রশ্ন করে, রাষ্ট্রপতি হওয়ার জন্য সে কী ভাবে প্রস্তুতি নেবে। হাল্কা খুনসুটির গলায় পাল্টা প্রশ্ন করেন, প্রধানমন্ত্রী নয় কেন? যেন কিছুই হয়নি। নিজের স্টেডি আচরণে এমনটাই বোঝাতে চাইছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু ইসরোর বিজ্ঞানীদের মুখে তখন হতাশার ছাপ স্পষ্ট। ইসরো থেকে বেরিয়েই টুইট করেন প্রধানমন্ত্রী। লেখেন, “আমাদের বিজ্ঞানীদের জন্য গোটা দেশ গর্বিত। ওঁরা ওঁদের তরফে সেরা চেষ্টা করেছন দেশকে গর্বিত করার। এই সময়গুলোয় আর একটু সাহসী হতে হবে, আর আমরা সাহসী হবো।”
(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)