Odisha: ঘুমন্ত স্ত্রীর ঘরে বিষাক্ত কোবরা ঢোকালেন স্বামী, সাপের ছোবলে মৃত্যু মা ও একরত্তি মেয়ের
রাতে মেয়েকে নিয়ে ঘরে ঘুমাচ্ছিলেন বাসন্তী। সেই সময়ে সাপটিকে ঘরে ছেড়ে বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দেয় গণেশ। পরের দিন সকালে ঘর থেকে উদ্ধার হয় বাসন্তী এবং তাঁর দু বছরের শিশুকন্যার দেহ।
বেরহামপুর, ওড়িশা, ২৪ নভেম্বরঃ বিষাক্ত সাপের কামড় খাইয়ে স্ত্রী এবং একরত্তি মেয়েকে খুনের অভিযোগ উঠেছে এক ব্যক্তি। ঘটনাটি ঘটেছে মাস দেড়েক আগে ওড়িশার (Odisha) গঞ্জাম জেলা থেকে থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দূরে আধেগাঁও গ্রামের কবিসূর্য নগর থানা এলাকায়। স্ত্রী এবং শিশুকন্যা খুনের দায় এড়াতে বিষাক্ত সাপ কিনে এনে ঘরে ছেড়ে দেন অভিযুক্ত ব্যক্তি। আর সেই সাপের কামড়েই মৃত্যু হয়েছে স্ত্রী এবং একরত্তি মেয়ের।
পুলিশ সূত্রে খবর, ২০২০ সালে বিবাহ হয়েছিল গণেশ পাত্র এবং বাসন্তী পাত্রের। দু বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে তাঁদের। কিন্তু গণেশ এবং বাসন্তীর বৈবাহিক সম্পর্ক সুখের ছিল না মোটেই। বিয়ের পর থেকেই দম্পতির মধ্যে বৈবাহিক কহল ছিল নিত্য সঙ্গী। স্ত্রীর প্রতি দীর্ঘদিনের ক্ষোভ জমতে জমতে তাঁকে খুনের পরিকল্পনা করেন অভিযুক্ত। এক জাদুকরের কাছ থেকে বিষাক্ত কোবরা সাপ কিনে এনে সাপের ছোবল খাইয়ে স্ত্রী এবং মেয়েকে খুনের ফন্দি আঁটেন গণেশ।
সেই পরিকল্পনা মত গত ৬ অক্টোবর জাদুকরকে মিথ্যা বলে তাঁর কাছ থেকে একটি বিসাক্ত কোবরা সাপ কিনে বাড়িতে আনেন মহিলার স্বামী। রাতে মেয়েকে নিয়ে ঘরে ঘুমাচ্ছিলেন বাসন্তী। সেই সময়ে সাপটিকে ঘরে ছেড়ে বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দেয় গণেশ। পরের দিন সকালে ঘর থেকে উদ্ধার হয় বাসন্তী এবং তাঁর দু বছরের শিশুকন্যার দেহ। সাপের ছোবলে মৃত্যু হয়েছ্র তাঁদের। ঘটনা ঘিরে একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামালা রজু করেছিল পুলিশ। কিন্তু মৃতা বাবা তাঁর জামাইয়ের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করেন।
এক পুলিশ আধিকারিক সূত্রে খবর, ঘটনার প্রায় ১ মাস পর গ্রেফতার হয় অভিযুক্ত। প্রথমে জেরায় কিছুতেই নিজের অপরাধ শিকার করতে চায়নি গণেশ। তাঁর দাবি, সাপ নিজে থেকে ওই ঘরে ধুকেছিল। যদিও পরে অপরাধ শিকার করেন অভিযুক্ত গণেশ।
(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)