Bihar: ২ পড়ুয়ার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা হল ৯৫০ কোটি টাকা, ব্যাপারটা কী?

কয়েকদিন আগেই বিহারের (Bihar) খাগারিয়া গ্রামীণ ব্যাংকের এক গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে (bank Accounts) জমা পড়েছিল ৫.৫ লক্ষ টাকা৷ এবার দুই নাবালকের অ্যাকাউন্টে জমা পড়ল ৯৫০ কোটি টাকা (900 crore)৷

Money (Photo Credits: PTI)

কাটিহার, ১৬ সেপ্টেম্বর: কয়েকদিন আগেই বিহারের (Bihar) খাগারিয়া গ্রামীণ ব্যাংকের এক গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে (bank Accounts) জমা পড়েছিল ৫.৫ লক্ষ টাকা৷ এবার দুই নাবালকের অ্যাকাউন্টে জমা পড়ল ৯৫০ কোটি টাকা (900 crore)৷ ঘটনাস্থল সেই বিহার৷ কাটিহার জেলার উত্তর বিহার গ্রামীণ ব্যাংকে রয়েছে স্কুল পড়ুয়া গুরুচন্দ্র বিশ্বাস ও অসিত কুমারের অ্যাকাউন্ট৷ তাদের বাড়ি কাটিহারের বাগাউরা পঞ্চায়েতের পাস্তিয়া গ্রামে৷ মূলত স্কুল ইউনিফর্ম বাবদ রাজ্য সরকার তাদের কতো টাকা দিয়েছে, তাই জানার উদ্দেশ্য এদিন দুই বন্ধুতে মিলে গ্রামে যে স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার কিয়স্ক রয়েছে সেখানে তাদের অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্স জানতে গিয়েছিল৷ তাদের অ্যাকাউন্টে রয়েছে ৯৫০ কোটি টাকা৷ আরও পড়ুন-Kabul: উদ্ধার হওয়া নগদ অর্থ ও সোনা আফগানিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ফেরাল তালিবান

হিন্দুস্তান টাইমসের সিস্টার সংস্থা লাইভ হিন্দুস্তানের রিপোর্ট অনুসারে, টাকার অঙ্ক শুনে দুই নাবালকের তখন ভিরমি খাওয়ার পরিস্থিতি৷ উত্তর বিহার গ্রামীণ ব্যাংকে রয়েছে তাদের অ্যাকাউন্ট৷ দুজনেই তখন টাকা তোলার চেষ্টা করলে ব্রাঞ্চ ম্যানেজার মনোজ গুপ্তা প্রসেস আটকে দেন৷ কী করে দুই নাবালকের অ্যাকাউন্টে এই বিপুল পরিমাণ টাকা এল তা জানার জন্য শুরু হয়েছে তদন্ত৷ জানা গেছে গুরুচন্দ্র বিশ্বাসের অ্যাকাউন্টে ক্রেডিট হয়েছে ৯০০ কোটি টাকা৷   আর অসিত কুমারের অ্যাকাউন্টে গেছে ৫০ কোটি টাকা৷ কে কারা কী উদ্দেশ্যে তাদের অ্যাকাউন্টে এই টাকা দিল, বুঝতে পারছেন না নাবালকের বাবা-মা, পরিবারের অন্যরাও৷ গোটা বিষয়টিতে ব্যাংক কর্তৃপক্ষও হতভম্ব৷ বিষয়টি গ্রামীণ ব্যাংকের পদস্থকর্তাদের জানানো হয়েছে৷

গুরুচন্দ্র ও অসিতের বাড়িতে ভিড় করেছে গোটা গ্রাম৷ কীকরে ৯০০ কোটিরও বেশি টাকা তাদের অ্যাকাউন্টে চলে এল, তা সবাই জানতে চায়৷ এদিকে টাকা নিয়ে এহেন গোলমালে বেশ কয়েকদিন ধরেই জেরবার বিহারের গ্রামীণ ব্যাংকগুলি৷ খাগারিয়া গ্রামীণ ব্যাংকের গ্রাহক রঞ্জিত দাসের কথাই ধরুন৷ তাঁর অ্যাকাউন্টে কীভাবে যেন সাড়ে পাঁচ লক্ষ টাকা জমা পড়েছে৷ ব্যাংকের তরফে রঞ্জিতবাবুকে সেই টাকা ফেরতের অনুরোধ করা হলেও তিনি তা দেননি৷ উল্টে তাঁর দাবি লকডাউনে তিনি সর্বস্বান্ত হয়েছেন, তাই প্রধানমন্ত্রী তাঁকে ওই সাড়ে পাঁচ লক্ষ টাকা পেয়েছে৷ কিন্তু এখন খুব ব্যাংক জালিয়াতি হয়, তাই তাঁর অ্যাকাউন্টে প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত টাকা কেউ আত্মসাৎ করার চেষ্টায় রয়েছে৷ রঞ্জিতবাবুর টাকার খুব প্রয়োজন৷ ইতিমধ্যেই সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা থেকে ১ লাখ ৬০ হাজার ৯৭০ টাকা তিনি খরচও করে ফেলেছেন৷ ইতিমধ্যেই রঞ্জিত দাসকে গ্রেপ্তার করে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ৷

 

(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)

Share Now

Share Now