Delhi Shocker: শ্রদ্ধা কাণ্ডের ছায়া! লিভ-ইন পার্টনারের গলা কেটে চপার দিয়ে মুখ কোপাল ব্যক্তি
মৃতার মেয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে ক্রাইম ব্রাঞ্চের একটি বিশেষ দল শুক্রবার নয়াদিল্লির পশ্চিম বিহার (পূর্ব) সঙ্গম বিহারের বাসিন্দা মনপ্রীতকে পাঞ্জাবের পাতিয়ালা জেলার নভার চিন্তাওয়ালার আলিপুর গ্রাম থেকে গ্রেফতার করে।
নয়াদিল্লি: দিল্লিতে ফের দেখা গেল শ্রদ্ধা কাণ্ডের ছায়া! লিভ-ইন পার্টনারের (Live-in Partner) গলা (Throat) কেটে (Slits) তাঁর মুখ (Face) চপার (Chopper) দিয়ে একাধিক বার কুপিয়ে নৃশংতার নয়া নজির গড়ল এক ব্যক্তি। মৃতার মেয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার ওই ব্যক্তিকে পাঞ্জাবের (Punjab) পাতিয়ালা (Patiala) থেকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ।
এপ্রসঙ্গে দিল্লি পুলিশের (Delhi Police) স্পেশাল পুলিশ কমিশনার (Special CP) (ক্রাইম ব্রাঞ্চ) রবিন্দার যাদব জানান, অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম মনপ্রীত সিং। ৪৫ বছরের ওই ব্যক্তি রেখা রানী নামে এক মহিলার সঙ্গে নয়াদিল্লির তিলক নগরের (Tilak Nagar) গণেশ নগরের (Ganesh Nagar) এলাকায় একটি ফ্ল্যাটে লিভ-ইন রিলেশনে থাকছিল। সঙ্গে ছিল ওই মহিলার কিশোরী মেয়েও। গত ১ ডিসেম্বর রেখা রানীকে ফ্ল্যাটের মধ্যে চপার দিয়ে গলা কেটে খুন করে মনপ্রীত। তারপর ওই মহিলার মুখ চপার দিয়ে ১২ বারের বেশি কুপিয়ে ফ্ল্যাট থেকে পালিয়ে পাঞ্জাবের পাতিয়ালায় থাকা নিজের গ্রামে গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যায়। এরপরই ওইদিনই মৃতার মেয়ে ক্লাস টেনের পড়ুয়া কিশোরী তিলক নগর থানায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২/২০১ ধারায় মামলা দায়ের করে।
এরপরই মৃতার মেয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে ক্রাইম ব্রাঞ্চের একটি বিশেষ দল শুক্রবার নয়াদিল্লির পশ্চিম বিহার (পূর্ব) সঙ্গম বিহারের বাসিন্দা মনপ্রীতকে পাঞ্জাবের পাতিয়ালা জেলার নভার চিন্তাওয়ালার আলিপুর গ্রাম থেকে গ্রেফতার করে।
মৃতার মেয়ের অভিযোগ, তার মাইগ্রেনের সমস্যা আছে। তাই প্রতিদিন সে ওষুধ খায়। ১ ডিসেম্বর সকাল ৬ টার সময় অভিযুক্ত ব্যক্তি তাকে ওষুধ খেতে দিয়ে ঘুমোতে বলে। মেয়েটি মায়ের কথা জিজ্ঞাসা করলে বলে তিনি বাজারে গেছেন। কিন্তু, পরে মায়ের রক্তাক্ত মৃতদেহ ফ্ল্যাটে পড়ে থাকতে দেখে সে পুলিশের দ্বারস্থ হয়।