Madhya Pradesh: ভরা বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতি, কাঁধে চাপিয়ে অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে হাসপাতাল নিয়ে যাওয়ার পথে সন্তানের জন্ম
অ্যাম্বুলেন্সে খবর দেওয়া হলেও নাগারে বৃষ্টি এবং বন্যার কারণে ব্যাহত অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা। তাই বাধ্য হয়ে গ্রামের কয়েকজন যুবক এবং মহিলার ভাই মিলে কাপড়ে বেঁধে কাঁধে চাপিয়ে অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে নিয়ে হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
বারওয়ানি, ২৫ সেপ্টেম্বরঃ ভরা বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতি মধ্যপ্রদেশের বারওয়ানি জেলায় (Madhya Pradesh)। রাস্তায় জল জমে যাওয়ায় অ্যাম্বুলেন্স পেলেন না প্রসব যন্ত্রণায় কাতর মহিলা। তাই হাসপাতালেই পথেই সন্তানের জন্ম হল। শনিবার সন্ধ্যায় বারওয়ানি জেলার খামঘাট গ্রাম নিবাসী ওই অন্তঃসত্ত্বা মহিলার প্রসব যন্ত্রণা ওঠে। অ্যাম্বুলেন্সে খবর দেওয়া হলেও নাগারে বৃষ্টি এবং বন্যার কারণে ব্যাহত অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা। তাই বাধ্য হয়ে গ্রামের কয়েকজন যুবক এবং মহিলার ভাই মিলে কাপড়ে বেঁধে কাঁধে চাপিয়ে অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে নিয়ে হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
আরও পড়ুনঃ মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের বাসভবনে গণেশ আরতিতে বলিউড খানেরা, দেখুন
বৃষ্টি মাথায় নদী পেরিয়ে মহিলাকে নিয়ে হাসপাতালের যাওয়ার পথে প্রসব যন্ত্রণা আরও বাড়তে থাকে মহিলার। মাঝ রাস্তাতেই সন্তানের জন্ম দেন তিনি। মহিলার ভাই জানান, 'আমার বোন প্রসব যন্ত্রণায় ছটফট করছিল। অ্যাম্বুলেন্সে খবর দেওয়া হয়। কিন্তু প্রবল বৃষ্টি, রাস্তায় জমা জলের কারণে অ্যাম্বুলেন্স আসতে দেরি করছিল। তাই সিদ্ধান্ত নি কাপড়ে বেঁধে কাঁধে করে ওকে (বোনকে) হাসপাতাল নিয়ে যাব। কিন্তু যাওয়ার পথে সে সন্তানের জন্ম দিয়েছে'।
কাপড়ে বেঁধে কাঁধে চাপিয়ে গর্ভবতী মহিলাকে নিয়ে হাসপাতালের পথে...
জানা গিয়েছে, মহিলা এবং তাঁর সদ্যজাত সন্তানকে নিয়ে চার কিলোমিটার যাওয়ার পর অ্যাম্বুলেন্সে তুলে দেওয়া হয় তাঁদের। অ্যাম্বুলেন্স যায় কমিউনিটি হেথ সেন্টারে। সেখান থেকে মা এবং সন্তানকে বারওয়ানি জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। হাসপাতাল চিকিৎসক জানিয়েছেন, মা এবং নবজাত দুজনেই সুস্থ রয়েছেন।
অন্যদিকে মহিলার ভাই অভিযোগ তুলেছে, তারা যে এলাকায় থাকেন সেখানকার পরিবহন ব্যবস্থা এবং রাস্তাঘাটের বেহাল দশা নিয়ে। সরকারের নজরের বাইরে থাকা ওই সমস্ত রাস্তা সারাইয়ের দাবি তুলেছেন। তিনি আরও জানান, বিধ্বস্ত রাস্তার জন্যে অ্যাম্বুলেন্স না মেলায় গ্রামে এর আগেও বহু মহিলা হাসপাতালের পথেই সন্তানের জন্ম দিয়েছেন।