Madhya Pradesh: জ্যামিতি বক্সের কম্পাস দিয়ে চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়াকে ক্ষতবিক্ষত করল তিন সহপাঠী, কী এমন ঘটেছিল ক্লাসরুমে?
কোন এক বিষয়কে কেন্দ্র করে ঝগড়ার জেরে জ্যামিতি বক্স থেকে কম্পাস বের করে ওই শিশুকে আক্রমণ করে তার তিন সহপাঠী'। এত অল্প বয়সের শিশুদের এমন হিংসাত্মক আচরণ করার পিছনে কী কারণ রয়েছে তা খুঁজে বের করতে পুলিশের কাছে তদন্ত রিপোর্ট চেয়েছে শিশুকল্যান কমিটি।
ইন্দোর, ২৭ নভেম্বরঃ ক্লাসের মধ্যেই চতুর্থ শ্রেণির এক পড়ুয়াকে জ্যামিতি বক্সের কম্পাস দিয়ে ক্ষতবিক্ষত করল তারই সহপাঠীরা। মধ্যেপ্রদেশে (Madhya Pradesh) ইন্দোরের একটি বেসরকারি স্কুলের ঘটনায় ছড়িয়ে পড়েছে চাঞ্চল্য। একবার নয়, দু'বার নয় ১০৮ বার কম্পাস দিয়ে আক্রমণের অভিযোগ উঠেছে তিন পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে। পুলিশের কাছে এই ঘটনার তদন্ত রিপোর্ট তলব করেছে শিশুকল্যান কমিটি (Child Welfare Committee)। শিশুটির আঘাত কতটা গুরুতর তা দেখতে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হয়েছে। জানা যাচ্ছে, অভিযুক্ত পড়ুয়াদের প্রত্যেকেরই বয়স দশের নীচে।
আজ সোমবার ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসলেও কম্পাস-হামলার বিষয়টি ঘটেছে গত শুক্রবার। এ প্রসঙ্গে শিশুকল্যাণ সমিতির প্রধান পল্লবী পোড়েল এক সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, কোন এক বিষয়কে কেন্দ্র করে ঝগড়ার জেরে জ্যামিতি বক্স থেকে কম্পাস বের করে ওই শিশুকে আক্রমণ করে তার তিন সহপাঠী'। তিনি আরও জানান, 'এই ঘটনা ভীষণই আশ্চর্যজনক। এত অল্প বয়সের শিশুদের এমন হিংসাত্মক আচরণ করার পিছনে কী কারণ রয়েছে তা খুঁজে বের করতে আমরা পুলিশের কাছে তদন্ত রিপোর্ট চেয়েছি'। হিংসাত্মক ভিডিয়ো গেম শিশু মনে এমন হিংসার সঞ্চার করে বলেও জানিয়েছেন পল্লবী।
আহত শিশুর বাবার অভিযোগ, ২৪ নভেম্বর দুপুরে ২টোর নাগাদ স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে ছেলে কাঁদতে কাঁদতে কম্পাস হামলার কথা জানায়। সহপাঠীদের কাছে কী কারনে এমন হিংস্র আচরণের শিকার হয়েছে তাঁর সন্তান তা নিয়ে অন্ধকারে তিনি। তবে স্কুল কর্তৃপক্ষ তাঁকে ক্লাসরুমের সিসিটিভি ফুটেজ সরবরাহ করছে না বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিশুটির বাবা। স্থানীয় থানায় ঘটনার অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি।