IPL Auction 2025 Live

Uttar Pradesh: ফের হোস্টেলে আত্মঘাতী ইঞ্জিনিয়ারিং পরীক্ষার্থী, ৮ মাসে ২০তম আত্মহত্যা কোটায়

আত্মহত্যার পিছনের কারণ কী সেই তথাকথিত কোটার পড়াশুনার চাপ নাকি মনীশেরর ক্ষেত্রে অন্য কিছু তা তদন্ত করছে পুলিশ।

প্রতীকী ছবি (Photo Credits: IANS)

জয়পুর, ১১ অগাস্টঃ কোটার (Kota) হোস্টেলে ফের আত্মঘাতী ইঞ্জিনিয়ারিং পরীক্ষার্থী (JEE Aspirants)। ছয় মাস আগেই জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্যে আজমের থেকে রাজস্থানের (Rajasthan) কোটায় এসেছিল ১৭ বছরের মনীশ প্রজাপত। বৃহস্পতিবার নিজের হোস্টেলের ঘর থেকে উদ্ধার হল মনীশের ঝুলন্ত দেহ। এদিনেই ছেলের সঙ্গে দেখা করতে হোস্টেলে এসেছিলেন বাবা। সন্ধ্যাবেলা বাবা ফিরে যেতেই চরম পদক্ষেপ নিল মনীশ। আত্মহত্যার পিছনের কারণ কী সেই তথাকথিত কোটার পড়াশুনার চাপ নাকি মনীশেরর ক্ষেত্রে অন্য কিছু তা তদন্ত করছে পুলিশ।

উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) আজমের নিবাসী মনীশ ছয় মাস আসেই কোটায় পা রাখেন। লক্ষ্য ছিল জয়েন্ট পাশ করে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া। কিন্তু তার আগেই আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত কেন নিতে হল মনীশকে তা নিয়ে রহস্য দানা বাঁধছে পুলিশের মনে। হোস্টেলের এক তত্ত্বাবধায়ক রাকেশ পুলিশকে জানায়, বৃহস্পতিবার ছেলের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন বাবা। কিন্তু ফেরার সময়ে বেশ রাগি রাগি মুখ নিয়েই ছেলের ঘর থেকে বেরিয়েছিলেন। তিনি আরও জানান, সন্ধে ৬টা থেকে সাড়ে ৬টার দিকে কোচিং সেরে নিজের রুমে ফিরেছিল মনীশ। এরপর ৭টার দিকে টিফিন খেতে সকলের সঙ্গে নিচে এসেছিল। তখনই শেষ তাঁকে দেখা গিয়েছিল।

রাত ৮টার দিকে মনীশকে ফোন করে তাঁর বাবা। কিন্তু ফোন বেজেই যায়। কেউ তোলে না। বাধ্য হয়ে হস্টেলের ওই তত্ত্বাবধায়ককে ফোন করেন তিনি। ছেলের সঙ্গে কথা বলতে চান বলে জানান। মনীশের ঘরে গিয়ে দরজা ধাক্কা দেন। দরজা ভিতর থেকে বন্ধ করা। কিন্তু কারুর কোন সাড়া শব্দ না আসায় সন্দেহ হয় রাকেশের। তিনি সঙ্গে সঙ্গে খবর দেন হোস্টেল অপারেটরকে এবং পুলিশে। পুলিশ এসে ঘরের দরজা ভেঙে উদ্ধার করে পড়ুয়ার ঝুলন্ত দেহ। পুলিশ জানান, বিছানার চাদর গলায় জড়িয়ে আত্মঘাতী হয়েছে মনীশ। বিগত ৮ মাসে কোটার এই নিয়ে ২০ জন পড়ুয়ার আত্মহত্যার খবর সামনে এসেছে।