Gujarat: নাবালিকা মেয়েকে ধর্ষণের পর খুনের দায়ে ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড
সঞ্জয় বারিয়া ধর্ষণের পর ওই নাবালিকাকে শ্বাসরুদ্ধ করে খুন করে করে। যে মেয়েটির বয়স অভিযুক্তের মেয়ের বয়স থেকে কিছুটা বেশি। এটা খুবই একটা জঘন্য অপরাধ হওয়া সত্ত্বেও বারিয়ার কোনও অনুশোচনা বোধ নেই। তাই এই মামলাটা বিরলের মধ্যে বিরলতম।
ভাদোদরা: জেনাবালিকা একটি মেয়েকে ধর্ষণের (Raping) পর খুনের murder) দায়ে মৃত্যুদণ্ডের (death penlty) সাজা হল এক ব্যক্তির। ২০১৯ সালে দায়ের হওয়া মামলার প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার ভাদোদরার (Vadodara) বিশেষ পকসো আদালতের (special POCSO Court) বিশেষ বিচারক (Special Judge) এ ঠাক্কর (J A Thakkar) অভিযুক্ত সঞ্জয় বারিয়া নামের ওই ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি দেড় লক্ষ টাকা জরিমানা দেওয়ার আদেশ দিয়ে দিয়েছেন।
বিচারকের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, সঞ্জয় বারিয়া ধর্ষণের পর ওই নাবালিকাকে শ্বাসরুদ্ধ করে খুন করে করে। যে মেয়েটির বয়স অভিযুক্তের মেয়ের বয়স থেকে কিছুটা বেশি। এটা খুবই একটা জঘন্য অপরাধ হওয়া সত্ত্বেও বারিয়ার কোনও অনুশোচনা বোধ নেই। তাই এই মামলাটা বিরলের মধ্যে বিরলতম।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২০২৯ সালের ১৭ মে ভাদোদরার গোররাজ গ্রামের একটি বসতি থেকে আট বছরের ওই নাবালিকাকে অপহরণ করে। তারপর একটি নির্জন ঝোঁপের আড়াল নিয়ে তাকে ধর্ষণ করার পর শ্বাসরুদ্ধ করে খুন করে। তারপর ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
পরে মেয়েটির পরিবারের লোকেরা মেয়ের খোঁজ শুরু করলে কোথাও তার সন্ধান পাননি। বাধ্য হয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয় তাঁরা। আর তার ঠিক পরের দিন সকালে নির্যাতিতা নাবালিকার মৃতদেহ উদ্ধার হয় একটি ঝোঁপের আড়াল থেকে। তদন্ত নেমে পুলিশ জানতে পারে ওই নাবালিকাকে অপহরণ করার বা মেয়েটিকে বসতি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার কোনও সিসিটিভি ফুটেজ দেখতে পায় না পুলিশ। তাই বাধ্য হয়ে একটি স্নিপার টগকে মৃতদেহটির সন্ধানের কাজে লাগানো হয়। তার তাতেই মেলে সাফল্য। মৃতদেহটি উদ্ধারের পাশাপাশি অভিযুক্ত বেরিয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বিচারে বেরিয়া দোষীসাব্যস্ত করে ডিস্ট্রিক লিগ্যাল এইড সার্ভিসকে নির্যাতিতার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।