Odisha: বাবার চিকিৎসার জন্য পায়ে টানা রিকশা চালিয়ে ৩৫ কিলোমিটার পাড়ি দিল ১৪ বছরের নাবালিকা
ওড়িশার এক ১৪ বছর বয়সী নাবালিকা তাঁর বাবার চিকিৎসার জন্য ৩৫ কিলোমিটার পায়ে টানা রিকশা চালিয়ে হাসপাতালে পৌঁছয়।
ওড়িশা: বাবা মেয়ের সম্পর্ক সবসময়ই একটু আবেগ মাখা হয়ে থাকে। এই সম্পর্ক খুব স্পেশ্যালও, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা বাবা তাঁর মেয়ের ভালো থাকা ও খুশির জন্য সব কিছুই উজাড় করে দেন, সহ্য করে নেন অনেক কষ্টও। তবে এবার বাবার প্রতি মেয়ের ভালোবাসার এক অনন্য দৃষ্টান্ত সামনে এলো। ওড়িশার (Odisha) ভদ্রক জেলার নাদিগান গ্রামের সুজাতা শেঠি নামের এক ১৪ বছর বয়সী নাবালিকা তাঁর বাবার চিকিৎসার জন্য ৩৫ কিলোমিটার পায়ে টানা রিকশা চালিয়ে হাসপাতালে পৌঁছয়।
সূত্রে খবর, গত ২২ অক্টোবর সুজাতার বাবা শম্ভুনাথ আহত হন। ২৩ অক্টোবর সুজাতা তাঁর আহত বাবাকে একটি পায়ে টানা রিকশায় চাপিয়ে ১৪ কিলোমিটার দূরে ধামনগর হাসপাতালে নিয়ে যায়, কিন্তু সেখানকার চিকিৎসকরা সুজাতাকে তাঁর বাবাকে ভালোমানের চিকিৎসার জন্য ভদ্রক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দেন। এর পর সুজাতা সেখান থেকে তাঁর বাবাকে ওই রিকশাতে করেই ৩৫ কিলোমিটার দূরে ভদ্রক জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। এই ঘটনাটি এলাকায় বেশ চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। আরও পড়ুন: PM Modi Offers Prayers: চিত্রকূটের রঘুবীর মন্দিরে পুজোর পর সদগুরু ট্রাস্টে ঘুরলেন মোদি, দেখুন প্রধানমন্ত্রীর আরতি করার ভিডিয়ো
সুজাতা জানিয়েছে, 'তাঁদের কাছে গাড়ি ভাড়া করার মতো টাকা ছিল না এবং অ্যাম্বুলেন্স ডাকার জন্য মোবাইল ফোনও ছিল না। এই কারণেই সে তাঁর বাবাকে রিকশায় চাপিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যায়।'
ঘটনার খবর পেয়ে ভদ্রকের বিধায়ক সঞ্জীব মল্লিক এবং প্রাক্তন ধামনগর বিধায়ক রাজেন্দ্র দাস মেয়েটির কাছে পৌঁছন তাঁদের সাহায্য করার জন্য।