Chennai Shocker: যাত্রী সংখ্যা বেশির জেরে বচসা, বছর ৩৪-এর যুবককে পিটিয়ে খুন করল ওলা চালক

সাতজন মিলে ক্যাবে উঠতে চেয়েছেন। এই অপরাধে বাড়ির কর্তাকেই পিটিয়ে খুন করল ক্যাবচালক (Ola Driver Beats 34-Year-Old Techie )। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে চেন্নাইয়ের পুরোনো মহাবলীপুরম রোডে।

File photo

চেন্নাই, ৫ জুলাই: সাতজন মিলে ক্যাবে উঠতে চেয়েছেন। এই অপরাধে বাড়ির কর্তাকেই পিটিয়ে খুন করল ক্যাবচালক (Ola Driver Beats 34-Year-Old Techie )। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে চেন্নাইয়ের পুরোনো মহাবলীপুরম রোডে। The New Indian Express  এর রিপোর্ট অনুসারে মৃত ব্যক্তির নাম এইচ উমেন্দার (৩৪)। তিনি গুডুভাঞ্চেরির বাসিন্দা। স্ত্রী ভাবিয়া, দুই ছেলেমেয়ে ও শ্যালিকা এবং তাঁর দুই সন্তানকে নিয়ে বেড়াতে বেরিয়েছিলেন উমেন্দার। আরও পড়ুন-Vendor Selling Fruits in Weirdly Funny Way: ফল হাতে অদ্ভুত মুখভঙ্গি করে খরিদ্দার ডাকছেন বিক্রেতা, ভাইরাল ভিডিও

পুলিশ জানিয়েছে,  স্থানীয় নাভালুর এলাকার একটি শপিংমলে সিনেমা দেখার পর পরিবারটি ৩.৩০ মিনিট নাগাদ বেরিয়ে আসে। ভাবিয়া সেই সময় ক্যাব ডাকেন। ক্যাবচালক প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই  সেখানে পৌঁছান। কোনওরকম বার্তলাপের সুযোগ না দিয়ে উমেন্দার ভাবিয়ার গোটা পরিবার প্রায় হুড়মুড়িয়ে ক্যাবে চড়ে বসে। এই ঘটনায় বেজায় চটেন ক্যাব চালক এন রবি (৪১)। তিনি সবাইকে গাড়ি তেকে নেমে যেতে বলেন। সেই সঙ্গে জানান OTP এলেই তাঁরা গাড়িতে প্রবেশ করবেন, নচেৎ নয়। যাইহোক সবাই গাড়ি থেকে নেমে যাওয়ার পর উমেন্দার প্রায় ঠেলেই ক্যাবের দরজা বন্ধ করে দেন বলে অভিযোগ।

কথায় কথা বাড়ে। রবি আচমকা উমেন্দারের উদ্দেশ্যে বলেন, সাতজনের জন্য ক্যাব ভাড়া না করে তাঁদের উচিত ছিল এসইউভি ভাড়া করা। দুই তরফের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের মাঝে হঠাতই উমেন্দারকে উদ্দেশ্য করে ফোন ছুঁড়ে মারেন চালক এন রবি।

ভাবিয়া তাঁর অভিযোগে জানিয়েছেন, চালক রবি উমেন্দারকে একের পর এক ঘুষি মারতে থাকেন। এর জেরে তাঁর স্বামী জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তড়িঘড়ি তাঁকে নিকটবর্তী হাসাপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এই পরিস্থিতিতে ঘটনাস্থল থেকে পালানোর চেষ্টা করেন অভিযুক্ত চালক এন রবি। তবে প্রত্যক্ষদর্শীরাই তাঁকে ধরে ফেলেন।

এর পরেই খুনের দায়ে কেলামবাক্কম থানার পুলিশ রবিকে গ্রেপ্তার করে। তাঁর পুলিশি হেফাজত হয়েছে। কোয়েম্বাটোরে সফটওয়্যার ডেভেলপারের কাজ করতেন মৃত উমেন্দার। পরিবারের সঙ্গে সাপ্তাহিক ছুটি কাটানোর জন্য বাড়িতে এসেছিলেন।