Kanpur: দাম্পত্য কলহের জের, স্ত্রীর মোবাইল নম্বর সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দিল স্বামী!
স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া তো হয়েই থাকে। কিন্তু উত্তরপ্রদেশের কানপুরে ঘটল এক অদ্ভূত ঘটনা। স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া (Husband Wife Clash) হওয়ায় স্বামী তার স্ত্রীর হোয়াটস অ্যাপ নম্বর ছড়িয়ে দিলো ৩০জন বন্ধুকে।
কানপুর, ৮ সেপ্টেম্বর: স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া তো হয়েই থাকে। কিন্তু উত্তরপ্রদেশের কানপুরে ঘটল এক অদ্ভূত ঘটনা। স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া (Husband Wife Clash) হওয়ায় স্বামী তার স্ত্রীর হোয়াটস অ্যাপ নম্বর ছড়িয়ে দিলো ৩০জন বন্ধুকে। এবং তারপরেই তাঁর ফোনে অশ্লীল মেসেজ আসতে থাকে। স্থানীয় থানায় গিয়েও কোনো লাভ হয়নি তাই তাঁকে আসতে হয়েছে পুলিশ কমিশনারের কাছে, জানিয়েছেন ওই ব্যক্তির স্ত্রী। আরও পড়ুন-Maharashtra: জঙ্গির কবরের সৌন্দর্যায়ন, উদ্ধব ঠাকরে-রাহুলগান্ধী-শরদ পওয়ারকে ক্ষমা চাইতে বললেন বিজেপি বিধায়ক
জানা গেছে অনেকদিন ধরেই স্বামী স্ত্রীর মধ্যে দেনা পাওনা নিয়ে ঝগড়া চলছিল। স্ত্রী পুলিশের কাছে এর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছিলেন। এতেই স্বামী রেগে যান এবং মহিলার নম্বর তাঁর বন্ধুদের মধ্যে ছড়িয়ে দেন। তারপরেই অশ্লীল মেসেজ আসতে থাকে স্ত্রীর কাছে। তিনি পুলিশ কমিশনারের কাছে অভিযোগ জানালে তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি ঘোষণা করেন কমিশনার।
২০১৯-এ চকেরী নগরের আকাশের সঙ্গে শ্যাম নগরের ওই মহিলার বিয়ে হয়। বিয়ের দু বছর পর থেকেই তাদের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়। মহিলা জানিয়েছেন আকাশের পরিবার মিথ্যে বলে বিয়ে দিয়েছিলো কারণ আকাশ কিছুই করে না। মহিলার বাবা মা বিয়েতে ১৫ লাখ টাকা খরচ করেছিলো কিন্তু আকাশ ও তার বাড়ির লোক তার ওপর খুবই অত্যাচার করত এমনকি তাকে একবার মেরে বাড়ি থেকে বের করেও দেওয়া হয়েছিলো ২০২১ সালে। অনেক বোঝানোতেও কোনো কাজ না হওয়ায় মহিলা পুলিশের কাছে পণ চাওয়ার অভিযোগ করেন।
এই ঘটনায় রেগে গিয়ে আকাশ তার ৩০ জন বন্ধুকে তার স্ত্রীর হোয়াটস অ্যাপ নম্বর ছড়িয়ে দেয়। তারপরেই তার কাছে আসতে থাকে অশ্লীল মেসেজ ও ছবি। স্থানীয় থানায় জানিয়েও কোনো লাভ না হওয়ায় মহিলা পুলিশ কমিশনারের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। তারপর তিনি এই ঘটনাটি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন।
মহিলা জানিয়েছেন দেনা পাওনার বিরুদ্ধে মামলা রুজু করার পরেই আকাশ তার বন্ধুদের মধ্যে মহিলার নম্বর ছড়িয়ে দেয় ও তার কাছে অশ্লীল ছবি ও ভিডিও আসতে থাকে। এতে তার বাঁচার ইচ্ছেই চলে গেছে। বাধ্য হয়ে পুলিশের কাছে তিনি অভিযোগ দায়ের করেছেন।