Delhi: এক বছরে ২০০টির বেশি বিমানে চেপে যাত্রীদের লক্ষাধিক টাকার গয়না চুরি, পুলিশের জালে অভিযুক্ত
বছর চল্লিশের রাজেশ কাপুরের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিগত এক বছরে তিনি ২০০টির বেশি বিমানে চড়েছেন কেবলমাত্র যাত্রীদের মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি করার জন্যে।
নয়া দিল্লি, ১৪ মেঃ বিমানে উঠে যাত্রীদের গয়না থেকে শুরু করে বিভিন্ন মূল্যবান জিনিস চুরি করাই ছিল তাঁর পেশা। মূলত লক্ষ্য ছিল বিমানের বয়স্ক যাত্রীরা। শেষমেশ বহু খোঁজাখুঁজির পর দিল্লি পুলিশের (Delhi Police) জালে ধরা পড়ল অভিযুক্ত ব্যক্তি। বছর চল্লিশের রাজেশ কাপুরের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিগত এক বছরে তিনি ২০০টির বেশি বিমানে চড়েছেন কেবলমাত্র যাত্রীদের মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি করার জন্যে।
সোমবার ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (Delhi Airport) থেকে একটি সাংবাদিক বৈঠক ডেকেছিলেন দিল্লি পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (আইজিআই) উষা রঙ্গনানি। তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে বিমানে যাত্রীদের দামী জিনিস চুরির অভিযোগ উঠছিল। অবশেষে দিল্লির পাহাড়গঞ্জ এলাকা থেকে গ্রেফতার হয়েছে অভিযুক্ত রাজেশ কাপুর। সঙ্গে উদ্ধার হয়েছে বিমান থেকে চুরি যাওয়া এমন বহু জিনিস। সেই সমস্ত মূল্যবান জিনিসগুলো শরদ জৈন (৪৬) নামে এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করার পরিকল্পনা করেছিলেন অভিযুক্ত। শরদকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ কমিশনার আরও জানিয়েছেন, গত তিন মাসে বিমান থেকে চুরির দুটি পৃথক অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। একটি, ২ ফেব্রুয়ারি অমৃতসর থেকে দিল্লিগামী বিমানে এক যাত্রী তাঁর ২০ লক্ষ টাকার গয়না হারিয়েছিলেন। অপর অভিযোগ ১১ এপ্রিলের। হায়দরাবাদ থেকে দিল্লিগামী বিমানে এক যাত্রীর ৭ লক্ষ টাকার গয়না চুরি গিয়েছিল। ওই দুই অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরেই তদন্তে নামে দিল্লি পুলিশ।
এরপর বিমানবন্দরের সিসিটিভি ফুটেজ সহ যাত্রীদের সমস্ত তথ্য খতিয়ে দেখে সন্দেহভাজন যাত্রীর সন্ধান পায় পুলিশ। পাহাড়গঞ্জ এলাকা থেকে মূল্যবান জিনিস সহ গ্রেফতার হয়েছে অভিযুক্ত রাজেশ। পুলিশি জেরার নিজের অপরাধের কথা স্বীকার করেছেন তিনি। হায়দরাবাদে দায়ের হওয়া আরও পাঁচটি মামলার সঙ্গে জড়িত রয়েছে অভিযুক্ত। তিনি জানিয়েছেন, বিমান থেকে যাত্রীদের জিনিসপত্র চুরি করে তা বিক্রি করে সেই টাকায় জুয়া খেলতেন। চুরি, জুয়া এবং অপরাধমূলক কাজ মিলিয়ে মোট ১১টি মামলা পাওয়া গিয়েছে রাজেশের বিরুদ্ধে। তাঁর মধ্যে পাঁচটি মামলা বিমানবন্দরের।