Hathras Gangrape Case: হাথরাস গণধর্ষণে মৃত তরুণীর দেহ ছিনিয়ে নিয়ে সৎকার পুলিশের, শেষবারের মতো মেয়ের মুখ দেখা হল না মায়ের
উত্তরপ্রদেশের হাথরাসের গণধর্ষিতা (Hathras Gangrape Case) তরুণীর গতকাল মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় দেশজুড়ে উঠেছে নিন্দার ঝড়। সবাই ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছে। এর মধ্যে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের বিরুদ্ধে উঠল চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। রাত আড়াইটে নাগাদ মৃত তরুণীর পরিবারকে বাড়িতে আটকে রেখে তাঁর দেহ পুড়িয়ে দিল পুলিশ। মৃতার পরিবারের অভিযোগ, পুলিশ জোর করে সৎকার করিয়েছে। শেষবারের মতো মেয়ের মরদেহ বাড়িতে আনার ইচ্ছে ছিল গোটা পরিবারের। উত্তরপ্রদেশের পুলিশ তা হতে দেয়নি। এমনকী, শেষকৃত্যে পরিবারের কাউকে উপস্থিত থাকতে না দিয়ে বাড়িতেই তালাবন্ধ করে দেয়।
হাথরাস, ৩০ সেপ্টেম্বর: উত্তরপ্রদেশের হাথরাসের গণধর্ষিতা (Hathras Gangrape Case) তরুণীর গতকাল মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় দেশজুড়ে উঠেছে নিন্দার ঝড়। সবাই ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছে। এর মধ্যে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের বিরুদ্ধে উঠল চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। রাত আড়াইটে নাগাদ মৃত তরুণীর পরিবারকে বাড়িতে আটকে রেখে তাঁর দেহ পুড়িয়ে দিল পুলিশ। মৃতার পরিবারের অভিযোগ, পুলিশ জোর করে সৎকার করিয়েছে। শেষবারের মতো মেয়ের মরদেহ বাড়িতে আনার ইচ্ছে ছিল গোটা পরিবারের। উত্তরপ্রদেশের পুলিশ তা হতে দেয়নি। এমনকী, শেষকৃত্যে পরিবারের কাউকে উপস্থিত থাকতে না দিয়ে বাড়িতেই তালাবন্ধ করে দেয়।
এএনআই টুইট
এক সাংবাদিকের তোলা ভিডিও ক্লিপ ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে পুলিশের সঙ্গে তীব্র বাদানুবাদে জড়িয়েছে মৃতার পরিবার। মরদেহ তুলে নিয়ে যাওয়ার আগে পরিবারের সদস্যদের অ্যাম্বুল্যান্সের মাথায় ছুঁড়ে ফেলা হচ্ছে। মেয়ের সৎকারের খবরে অসহায়ভাবে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন মা। মাঝরাতেই মেয়েটির দেহ তাঁর গ্রাম হাথরাসে নিয়ে যাওয়া হয়। মৃতার দেহ যাতে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হয়, সেই আর্জি জানিয়েছিলেন তাঁর বাবা। রাস্তায় চলতে থাকে বিক্ষোভ। তবে মাঝরাতেই বিক্ষোভ সরাতে সরাতে দেহ নিয়ে পুলিশের গাড়ি পৌঁছায় শ্মশানে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সংবাদমাধ্যমকে রুখতে পুলিশ মানবশৃঙ্খলও তৈরি করেছিল। সেখানে শুধুমাত্র পুলিশই উপস্থিত ছিল। এমনকী পরিবারকেও মৃতার শেষকৃত্যের সাক্ষী থাকতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। এদিকে যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে হাথরাস পুলিশ। টুইট বার্তায় পুলিশের দাবি, এই অভিযোগ ভিত্তিহীন। মৃতার পরিবারের উপস্থিতিতেই শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে।
হাথরাস পুলিশের টুইট
রাহুল গান্ধীর টুইট
এই ঘটনায় চার অভিযুক্তকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধর্ষিতা মেয়েটি তফশালি জাতিভুক্ত, তবে অভিযুক্তরা প্রত্যেকেই উচ্চবর্ণের। গত কয়েক মাসে উত্তরপ্রদেশে একের পর এক মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের ঘটনা ঘটে চলায়, দেশজুড়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। নিগৃহীতার পরিবারের অভিযোগ, প্রথমে তাদের কোনও সাহায্যই করেনি পুলিশ। পরে জনরোষের চাপে পড়ে পুলিশ ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয়। তরুণীর মৃত্যুর পর হাসপাতালের বাইরে তীব্র বিক্ষোভ শুরু হয়। স্লোগান ওঠে 'ধর্ষকদের ফাঁসি চাই।' মৃতার দাদার অভিযোগ, পরিবারকে কিছু না-জানিয়েই দেহ বের করে নিয়ে আসে পুলিশ। হাসপাতালের বাইরেই ধরনায় বসেছিলেন মৃতার বাবা। তাঁকে উত্তরপ্রদেশের প্লেট লাগানো একটি গাড়িতে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ।
(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)